ষোড়শ পরিচ্ছেদ ঃ “না” 8? হীরা বলিল, “সব পারিব, কিন্তু শুধু বারাণসী নিব না ।" সু। কি নিবি ? কমল বলিল, “ও একটি বর চায়। ওর একটি বিয়ে দাও।” স্থ । আচ্ছ, তাই হবে—জামাই বাবুকে মনে ধরে ? বল তা হলে কমল সম্বন্ধ করে । হী। তবে দেখবো । কিন্তু আমার মনের মত ঘরে একটি বর আছে। স্থ । কে লো ? झौ । यभ । ষোড়শ পরিচ্ছেদ “ai I’’ সেই দিন প্রদোষকালে উদ্যানমধ্যস্থ বাপীতটে বসিয়া কুন্দনন্দিনী । এই দীর্ঘিকা অতি সুবিস্তৃতা ; তাহার জল অতি পরিষ্কার এবং সৰ্ব্বদ নীলপ্রভ । পাঠকের স্মরণ থাকিতে পারে, এই পুষ্করিণীর পশ্চাতে পুষ্পোছান । পুষ্পোদ্যানমধ্যে এক শ্বেতপ্রস্তররচিত লতামণ্ডপ ছিল। সেই লতামণ্ডপের সম্মুখেই পুষ্করিণীতে অবতরণ করিবার সোপান। সোপান প্রস্তরবৎ ইষ্টকে নিৰ্ম্মিত, অতি প্রশস্ত এবং পরিষ্কার। তাহার দুই ধারে, দুইটি বহুকালের বড় বকুল গাছ। সেই বকুলের তলায়, সোপানের উপরে কুন্দনন্দিনী, অন্ধকার প্রদোষে একাকিনী বসিয়া স্বচ্ছ সরোবরহাদয়ে প্রতিফলিত নক্ষত্রাদিসহিত আকাশপ্রতিবিম্ব নিরীক্ষণ করিতেছিলেন। কোথাও কতকগুলি লাল ফুল অন্ধকারে অস্পষ্ট লক্ষ্য হইতেছিল। দীর্ঘিকার অপর তিন পার্থে, আম, কাটাল, জাম, লেবু, লিচু, নারিকেল, কুল, বেল প্রভৃতি ফলবান ফলের গাছ, ঘনশ্রেণীবদ্ধ হইয়া অন্ধকারে অসমণীর্ষ প্রাচীরবৎ দৃষ্ট হইতেছিল। কদাচিৎ তাহার শাখায় বসিয়া মাচাড় পার্থী বিকট রব করিয়া নিঃশব্দ সরোবরকে শদিত করিতেছিল। শীতল বায়ু, সরোবর পার হইয়া ইন্দীবরকোরককে ঈষন্মাত্র বিধৃত করিয়া, আকাশচিত্রকে স্বল্পমাত্র কম্পিত করিয়া কুন্দনন্দিনীর শিরঃস্থ বকুলপত্রমালায় মৰ্ম্মর শব্দ করিতেছিল এবং নিদাঘপ্রস্ফুটিত বকুল পুষ্পের গন্ধ চারিদিকে বিকীর্ণ করিতেছিল। বকুল পুষ্প সকল নিঃশব্দে কুন্দনন্দিনীর অঙ্গে এবং চারিদিকে ঝরিয়া পড়িতেছিল। পশ্চাৎ হইতে ག།
পাতা:বিষবৃক্ষ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।