la's বিষবৃক্ষ ! চাও ত পড়ি।” আমাকে অক্ষয় বাৰু সত্যই বলিয়াছিলেন যে বঙ্কিম বাৰুর স্ত্রীর চরিত্রই তাহাকে নভেলিষ্ট করিয়াছে। তিনিই সুৰ্য্যমুখী । * - . ১৮৯৩ খ্ৰীষ্টাব্দে কলিকাতায় বঙ্কিমচন্দ্রের সহিত নবীনচন্দ্রের সাক্ষাৎ হয়। সেই সাক্ষাতের বিবরণীতে বিষবৃক্ষ-প্রসঙ্গ একটু আছে। প্রেমের কাহিনী অবাধ প্রচারের স্বারা তিনি দেশের অহিত করিয়াছেন, নবীনচশ্রের এই অভিযোগ শুনিয়া বঙ্কিমচন্দ্র প্রাচীরগাত্রে বিলম্বিত র্তাহার কনিষ্ঠ কষ্ঠার অয়েল-পেটিঙের দিকে চাহিয়াছিলেন এবং র্তাহার চক্ষু অশ্রুসজল হইয়াছিল। “এই কন্যাটিও কুন্দনন্দিনীর হতভাগ্য অমুকরণ করিয়াছিল।” • - সাধনায় ( শ্রাবণ, ১৩০১ ) প্রকাশিত শ্ৰীশচন্দ্র মজুমদারের বঙ্কিম বাবুর প্রসঙ্গ” প্রবন্ধে 'বিষবৃক্ষের এই ভাবে উল্লেখ আছে— - .{ বঙ্কিমচন্দ্ৰ ] বলিলেন, “কুননন্দিনীর বিষ খাওয়াটা যে নীতিবিরুদ্ধ তাহা আমি স্বীকার করি।”... & “প্রতিনিধি” নামক সম্বাদপত্রে আমি “কুন্দনন্দিনী” চরিত্র সমালোচনা করিয়াছিলাম। বঙ্কিম বাবু পড়িয়া বলিয়াছিলেন, সামান্য চরিত্র, তার অত বিশ্লেষণের দরকার ছিল না। আমি বলিলাম, এক বিষয়ে চরিত্রটা আমার কাছে অসামান্ত বরিয়া বোধ হয়—উহার নিশ্চেষ্ট সরলতা । কোথাও আর অমন চিত্র দেখি নাই। বঙ্কিমবাবু বলিলেন, “আমি তিলোত্তমার চরিত্রেও একটু তাহা দেখাইয়াছি।” আমি বলিলাম, কুন্দ তাহার বিকাশ অনেক বেশী ।...আমার বোধ হয় যেন আপনার নাট্য স্বজন শক্তি এখন বাড়িতেছে। বঙ্কিমবাবু—“ই দেখিয়াছি সে কথা সে দিন তুমি কুন্দচরিত্রের শেষে লিথিয়াছ। চন্দ্রবাবুও [ চন্দ্রনাথ বস্থ ] তাই বলেন, আমার নিজেরও তাই বোধ হয় । . • • ...আমি বলিলাম "শুনেছি বিষবৃক্ষে আপনার নিজের জীবনের একটা ছবি আছে, ইহা কি সত্য ৰুখ ?” উত্তর—“কতক সত্য বই কি, তবে আসলের উপর অনেক রং ফলাইতে হয়েচে ।” শচীশচন্দ্র ‘বঙ্কিম-জীবনী’তে লিখিয়াছেন— হয়দেব ঘোষালের পত্র দুইখানি শুনিতে পাই স্বৰ্গীয় জগদীশনাথ রায় কর্তৃক লিখিত – পৃ. ২৭৩ তৃতীয় সংস্করণ। བའི་ས།) * sws artw rsa sete MiriaiR8. Knight The Poison Tree atrw 'বিষবৃক্ষে’র ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশ করেন। সার এডউন আর্নল্ড ইহার ভূমিকা
- আমার জীবন-চতুর্থ ভাগ, পৃ. ২৭৫-৭৭ ।