পাতা:বিষবৃক্ষ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

देिशदूक মনে করিলে ইহার প্রতীকার করিতে পারি? আমি মরিতে পারি, কিন্তু তাহাতে সূৰ্য্যমুখী বঁাচিবে ?” . না ; নগেন্দ্র। তুমি মরিলে সূৰ্য্যমুখী বাচিবে না, কিন্তু তোমার মরাই ভাল ছিল। দণ্ডেক পরে সূৰ্য্যমুখী উঠিয়া বসিলেন। আবার স্বামীর পায়ে ধরিয়া বলিলেন, “এক ভিক্ষা ।” ন। কি ? সু। আর এক মাস মাত্র গৃহে থাক। ইতিমধ্যে যদি কুন্দনন্দিনীকে না পাওয়া যায়, তবে তুমি দেশত্যাগ করিও । আমি মানা করিব না। নগেন্দ্র মৌনভাবে বাহির হইয়া গেলেন। মনে মনে আর এক মাস থাকিতে স্বীকার করিলেন। সূৰ্য্যমুখীও তাহা বুঝিলেন। তিনি গমনশীল নগেন্দ্রের মূৰ্ত্তিপ্রতি চাহিয়াছিলেন। স্বৰ্য্যমুখী মনে মনে বলিতেছিলেন, “আমার সর্বস্ব ধন ! তোমার পায়ের কাটাটি তুলিবার জন্য প্রাণ দিতে পারি। তুমি পাপ সূৰ্য্যমুখীর জন্য দেশত্যাগী হইবে ? তুমি বড়, না আমি বড় ?” - দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ চোরের উপর বাটপাড়ি হীরা দাসীর চাকরী গেল, কিন্তু দত্তবাড়ীর সঙ্গে সম্বন্ধ ঘুচিল না। সে বাড়ীর সংবাদের জন্য হীরা সৰ্ব্বদা ব্যস্ত । সেখানকার লোক পাইলে ধরিয়া বসাইয়া গল্প ফাদে । কথার ছলে সূৰ্য্যমুখীর প্রতি নগেন্দ্রের কি ভাব, তাহা জানিয়া লয়। যে দিন কাহারও সাক্ষাৎ না পায়, সেদিন ছল করিয়া বাবুদের বাড়ীতেই আসিয়া বসে। দাসীমহলে পাচ রকম কথা পাড়িয়া, অভিপ্রায় সিদ্ধ করিয়া চলিয়া যায়। এইরূপে কিছু দিন গেল। কিন্তু এক দিন একটি গোলযোগ উপস্থিত হইবার । সম্ভাবনা হইয়া উঠিল – দেবেন্দ্রের নিকট হীরার পরিচয়াবধি, হীরার বাড়ী মালতী গোয়ালিনীর কিছু ঘন ঘন যাতায়াত হইতে লাগিল। মালতী দেখিল, তাহাতে হীরা বড় সন্তুষ্ট নহে। আরও ’ দেখিল, একটি ঘর প্রায় বন্ধ থাকে। সে ঘরে, হীরার বুদ্ধির প্রাখৰ্য্য হেতু, বাহির হইতে