পাতা:বিষম বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিষম বুদ্ধি।
১৭

আমরা অবগত হইতে পারিয়াছি, তাহা রাজচন্দ্র বলিয়া না দিলে কোনরূপ উপায়েই আমাদিগের জানিবার উপায় ছিল না যে, মৃতব্যক্তি কে? কোথা হইতে তাহাকে সেইস্থানে আনা হইয়াছে এবং কেই বা তাহাকে আনিয়াছে। মনে করুন, রাজচন্দ্র দাস আমাদিগের নিকট গমন করেন নাই বা আমাদিগকে কোন কথা বলেন নাই। এই মৃতদেহ দাহ করিবার ঘাট হইতে সংবাদ পাঠাইয়া দেওয়ার পর আমরা আসিয়া এখানে উপস্থিত হইয়াছি, এবং মৃতদেহ যাহারা এইস্থানে বহন করিয়া আনিয়াছিল, তাহাদিগের কাহাকেও প্রাপ্ত হই নাই, এইস্থানে আসিয়া কেবলমাত্র মৃতদেহই পাইয়াছি। তাহার অঙ্গে পেরেক বিদ্ধ আছে দেখিতে পাইয়াছি, এরূপ অবস্থায় এ মৃতদেহ কাহার, প্রথমতঃ অনুসন্ধান করিয়া তাহাই বাহির করা সহজ নহে, তাহার উপর কাহার কর্ত্তৃক এ ব্যক্তি হত হইয়াছে, তাহা বাহির করা যে কিরূপ দুঃসাধ্য, তাহা পাঠকগণ সহজেই অনুমান করিতে পারেন। এরূপ অবস্থায় রাজচন্দ্র দাস নিজে আসিয়া থানায় উপস্থিত না হইলে তাহার উপর এই অপরাধ আমরা সহজে প্রমাণ করিতে পারিতাম বলিয়া অনুমান হয় না। প্রমাণ হওয়া দুরে থাকুক, রাজদন্দ্র দাসের দ্বারা যে এই কার্য্য ঘটিয়াছে, তাহাই বা জানিতে পারিতাম কিরূপে? এরূপ অবস্থায় রাজচন্দ্র দাস নিজে হাজির হইয়া যে সকল কথা বলিয়া তাঁহাকে বিষম বিপদে পতিত করিতেছে, তাহাই বা একেবারে অবিশ্বাস করি কি প্রকারে? হয় ত হইতে পারে, কোন ব্যক্তি কর্ত্তৃক তাহার বক্ষঃস্থলে পেরেক বিদ্ধ হইয়াছে, রাজচন্দ্র হয় ত তাহার কিছুই অবগত নহে। সেই পেরেক বিদ্ধকারীর উদ্দেশে গালি প্রদানকালে