পাতা:বিষম বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিষম বুদ্ধি।
৩৭

করিয়া যেন আমাকে চরম দণ্ডে দণ্ডিত না করেন। আপনাদিগের কাহারও চাকরি চিরস্থায়ী নহে, সামান্য চাকরির খাতিরে আমার বিপক্ষে মিথ্যা সাক্ষীর যোগাড় করিয়া দিয়া অধর্ম্ম সঞ্চয় করিবেন না, ইহাই আমার একমাত্র শেষ অনুরোধ।

 এই বলিয়া রাজচন্দ্র দাস চুপ করিলেন। আমিও এখন বুঝিতে পারিলাম যে, রাজচন্দ্র দাস তাহার মনের গতি অপর দিকে পরিবর্ত্তিত করিতে সমর্থ হইয়াছে। আরও বুঝিতে পারিলাম যে, তাহার উপর আর কোনরূপ প্রমাণ এখনও পর্য্যন্ত প্রাপ্ত হওয়া যায় নাই দেখিয়াই, সে এখন বুঝিতে পারিয়াছে যে, এখন যদি সে আর কোন কথা স্বীকার না করে, তাহা হইলে তাহার কোনরূপই দণ্ড হইতে পারে না। এই ভাবিয়া পূর্ব্ব হইতে সে যাহা বলিয়া আসিতেছিল, এখন আর সে তাহাও বলিতে সম্মত নহে। রাজচন্দ্রের মনের ভাব বুঝিতে পারিয়া, সেই সময় হইতে তাহাকে আর কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলাম না, তাহার সম্মুখে আর কোনরূপ অনুসন্ধান করিতেও প্রবৃত্ত হইলাম না। ইহার পর হইতেই রাজচন্দ্র দাস হাজতগৃহে আবদ্ধ হইল, তাহার বিপক্ষে অনুসন্ধান চলিতে লাগিল। এপর্য্যন্ত আমি একাকীই এই বিষয়ে অনুসন্ধান করিতেছিলাম, কিন্তু এখন হইতে আরও তিন চারিজন বহুদর্শী কর্ম্মচারী আমার সমভিব্যাহারে ইহার অনুসন্ধান করিতে প্রবৃত্ত হইলেন।