পাতা:বীথিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 8२ দুর্ভাগিনী সব সান্তনার শেষে সব পথ একেবারে মিলেছে শূন্তের অন্ধকারে ; ফিরিছ বিশ্রামহারা ঘুরে ঘুরে, খুজিছ কাছের বিশ্ব মুহুর্তে যা চলে গেল দূরে ; খুজিছ বুকের ধন, সে আর তো নেই, বুকের পাথর হল মুহুর্তেই । চিরচেনা ছিল চোখে চোখে, অকস্মাৎ মিলালো অপরিচিত লোকে । দেবতা যেখানে ছিল সেথা জ্বালাইতে গেলে ধূপ, সেখানে বিদ্রুপ । সর্বশূন্ততার ধারে জীবনের পোড়ো ঘরে অবরুদ্ধ দ্বারে দাও নাড়া ; ভিতরে কে দিবে সাড়া ? মূৰ্ছাতুর আধারের উঠিছে নিশ্বাস । ভাঙা বিশ্বে পড়ে আছে ভেঙে-পড়া বিপুল বিশ্বাস । তার কাছে নত হয় শির চরম বেদনাশৈলে উধ্ব চূড় যাহার মন্দির। মনে হয়, বেদনার মহেশ্বরী তোমার জীবন ভরি তুষ্করতপস্যামগ্ন, মহাবিরহিণী মহাদুঃখে করিছেন ঋণী চিরদয়িতেরে । তোমারে সরালো শত ফেরে