পাতা:বীথিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 88 গরবিনী কে গো তুমি গরবিনী, সাবধানে থাকো দূরে দূরে, মৰ্তধৃলি-পরে ঘৃণা বাজে তব নৃপুরে নূপুরে। তুমি যে অসাধারণ, তীব্র এক তুমি, আকাশকুসুমসম অসংসত্ত রয়েছ কুসুমি । বাহিরের প্রসাধনে যত্নে তুমি শুচি ; অকলঙ্ক তোমার কৃত্রিম রুচি ; সর্বদা সংশয়ে থাকো পাছে কোথা হতে হতভাগ্য কালো কীট পড়ে তব দীপের আলোতে স্ফটিকেতে-ঢাকা । অসামান্য সমাদরে তাক৷ তোমার জীবন কৃপণের-কক্ষে-রাখা ছবির মতন বহুমূল্য যবনিকা-অন্তরালে ; ওগো অভাগিনী নারী, এই ছিল তোমার কপালে— আপন প্রহরী তুমি, নিজে তুমি আপন বন্ধন। আমি সাধারণ । এ ধরণতলের নির্বিচার স্পর্শ সকলের দেহে মোর বহে যায়, লাগে মোর মনে— সেই বলে বলী আমি, স্বত্ব মোর সকল ভুবনে।