)(2ぐう হুটু বীথিকার ছায়ায় আলোকে সুগভীর পরিব্যাপ্ত শোকে কহিছে নির্বাকবাণী বৈরাগ্যকরুণ ক্লান্ত স্বরে, তাহারি রণনধ্বনি প্রান্তরে বাজিছে দূরে দূরে। শিশুকাল হতে হেথা সুখে-দুঃখে-ভরা দিন-রাত করেছে তোমার প্রাণে বিচিত্র বর্ণের রেখাপাত— কাশের মঞ্জরীশুভ্ৰ দিশা, নিস্তব্ধ মালতী-ঝরা নিশা, প্রশান্ত শিউলি-ফোটা প্রভাত শিশিরে-ছলোছলো, দিগন্ত-চমক-দেওয়া সূর্যাস্তের রশ্মি জ্বলোজলো । এখনো তেমনি হেথা আসিবে দিনের পরে দিন, তবুও সে আজ হতে চিরকাল রবে তুমি-হীন । ব’সে আমাদের মাঝখানে কতু যে তোমার গানে গানে ভরিবে না মুখসন্ধ্যা, মনে হয়, অসম্ভব অতি— বর্ষে বর্ষে দিনে দিনে প্রমাণ করিবে সেই ক্ষতি । বারে বারে নিতে তুমি গীতিস্রোতে কবি-আশীর্বাণী, তাহারে আপন পাত্রে প্রণামে ফিরায়ে দিতে আনি । জীবনের দেওয়া-নেওয়া সেই ঘুচিল অস্তিম নিমেষেই— স্নেহোজ্জল কল্যাণের সে সম্বন্ধ তোমার আমার গানের নির্মাল্য -সাথে নিয়ে গেলে মরণের পার ।
পাতা:বীথিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।