পাতা:বীথিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় বীথিকা ১৩৪২ ভাত্রে গ্রন্থাকারে প্রথম প্রচারিত। পরবর্তী মুদ্রণে ইহার অন্যতম কবিতা ‘আধুনিক পুনরুমুদ্রিত হয় নাই ; কেননা প্ৰহাসিনী ( ১৩৪৫ ) কাব্যে সেটিকে স্থান দিয়া কবি বলেন– “দ্বারীর অনবধানে এই কবিতাটি বীথিকায় অনধিকার প্রবেশ করেছিল । সেই পরিহসিতাকে যথাযোগ্য স্থানে ফিরিয়ে আনা গেল।’ বীথিকার অন্তর্গত কবিতাগুলির রচনার স্থান-কাল-সম্পর্কিত তথ্য রবীন্দ্র-রচনাবলীর উনবিংশ খণ্ডে অনেকটা পূর্ণতা লাভ করে— এ বিষয়ে বর্তমান গ্রন্থে রবীন্দ্র-রচনাবলীরই অনুসরণ করা হইয়াছে । ‘প্রত্যপণ কবিতার রচনাকাল (পৃ ৩৩ ) অনিশ্চিত নয়, পরে দেখা গিয়াছে ইহার রচনা ১২ মাঘ ১৩৪০ তারিখে । ‘ছায়াছবি’ (পৃ ৩৯ ) ও ‘প্রাণের ডাক' (পৃ ৯১ ) দুটি কবিতারই স্বচনায় যে অতিরিক্ত পাঠ পাণ্ডুলিপিতে বা ‘প্রবাসী’ পত্রে পাওয়া যায় তাহা উনবিংশখণ্ড রবীন্দ্র-রচনাবলীর গ্রন্থপরিচয়ে দ্রষ্টব্য। ‘জয়ী কবিতার প্রথম স্তবক (পৃ ১৬০ ) লেখা হয় আবা-মারু জাহাজের অধ্যক্ষ ও নাবিকদের প্রত্যর্থে, স্বাক্ষরলিপি হিসাবে । রবীন্দ্রসদনের অন্যতম পাণ্ডুলিপিতে উহার তারিখ-যুক্ত এই পাঠ দেখা যায়— রূপহীন বর্ণহীন স্তব্ধ মরু, নাই শব্দ স্বর, তৃষ্ণাতরবারি হাতে আসন মৃত্যুর— সে মহানৈঃশব্দ্য-মাঝে বেজে ওঠে মানবের বাণী ‘বাধা নাহি মানি’ । Awa-Marw Oct 25, 1927 Bay of Bengal ১৩৪২ সনে ইহার ভিন্ন একটি পাঠ কবির হস্তাক্ষরে মুদ্রিত হয় ‘বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশন পত্রিকায় ; তারিখ : ১৮ চৈত্র ১৩৪১ । ૨છે. ઉ.