পাতা:বীথিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিমন্ত্রণ তথাপি পষ্ট বলিতে নাহি তো দোষ যে কথা কবির গভীর মনের কথা— উদরবিভাগে দৈহিক পরিতোষ সঙ্গী জোটায় মানসিক মধুরতা। শোভন হাতের সন্দেশ পানতোয়া, মাছমাংসের পোলাও ইত্যাদিও যবে দেখা দেয় সেবামাধুর্যে-ছোওয়া তখন সে হয় কী অনির্বচনীয় ! বুঝি অনুমানে, চোখে কৌতুক ঝলে— ভাবিছ বসিয়া সহাস-ওষ্ঠাধরা এ সমস্তই কবিতার কৌশলে মৃত্নসংকেতে মোটা ফরমাশ করা । আচ্ছা, নাহয় ইঙ্গিত শুনে হেসো ; বরদানে, দেবী, নাহয় হইবে বাম ; খালি হাতে যদি আস তবে তাই এসো, সে দুটি হাতেরও কিছু কম নহে দাম । সেই কথা ভালো, তুমি চলে এসো একা, বাতাসে তোমার আভাস যেন গো থাকে ; স্তব্ধ প্রহরে দুজনে বিজনে দেখা, সন্ধ্যাতারাটি শিরীষডালের ফঁাকে । তার পরে যদি ফিরে যাও ধীরে ধীরে ভুলে ফেলে যেয়ে তোমার যুখীর মালা ; ইমন বাজিবে বক্ষের শিরে শিরে, তার পরে হবে কাব্য লেখার পালা ।