এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
bア> দানমহিমা নিঝরিণী অকারণ আবারণ সুখে নীরসেরে ঠেলা দিয়ে চলে তৃষিতের অভিমুখে— সরোবর প্রশান্ত নিশ্চল— বাহিরেতে নিস্তরঙ্গ, অন্তরেতে নিস্তব্ধ নিস্তল । চির-অতিথির মতো মহাবট আছে তীরে ; ভূরিপায়ী মূল তার অদৃশ্ব গভীরে অনিঃশেষ রস করে পান, অজস্র পল্লবে তার করে স্তবগান । তোমারে তেমনি দেখি নির্বিকল অপ্ৰমত্ত পূর্ণতায়, হে প্রেয়সী, আছ অচঞ্চল। তুমি করে বরদান দেবীসম ধীর আবির্ভাবে নিরাসক্ত দাক্ষিণ্যের গম্ভীর প্রভাবে । তোমার সামীপ্য সেই নিত্য চারি দিকে আকাশেই প্রকাশিত আত্মমহিমায় প্রশান্ত প্রভায় । তুমি আছ কাছে, সে আত্মবিস্মৃত কৃপা— চিত্ত তাহে পরিতৃপ্ত আছে। ঐশ্বর্যরহস্য যাহা তোমাতে বিরাজে একই কালে ধন সেই, দান সেই– ভেদ নেই মাঝে । ৪ অগস্ট ১৯৩২