রামছাগল অমনি দাড়ি চুমড়ে বললে—“তবে মানুষ জানল কেমন করে এ শাঁখ সমুদ্রের তলাকার, পাহাড়ের উপরকার নয়।”
সুবচনী পাছে তর্কে হেরে যায় রিদয় তাই তাড়াতাড়ি বলে ঊঠল—“জানো না, মানুষ ডুবুরি নামিয়ে মুক্তো তোলবার সময় এই সব শাঁখ কুড়িয়ে এনেছিল ঝুড়ি-ঝুড়ি!”
রামছাগল শিং নেড়ে বললে—“ঝুড়ি থেকে তারি গোটাকতক শাঁখ হয়তো মাটিতে পড়ে গিয়েছিল।” হঠাৎ সুবচনী বললে—“তা নয়”—সুবচনী আরও কী বলতে যাচ্ছে অমনি ছাগল রেগে বললে—“তা যদি নয়তো নিশ্চয় আগে শাঁখের সব ডানা ছিল, উড়ে এসেছে হাঁসেদের মতো এই পাহাড়ে”।
রিদয় অমনি বলে উঠল—“শাঁখের যদি ডানা থাকতে পারে তবে পাহাড়গুলোরও ডানা ছিল একথাই বা কেন বিশ্বাস করবে না?”
সুবচনী অমনি বলে উঠল—“আর প্রজাপতির মাথায় রামছাগলের মুখই বা না হবে কেন, তা বল!”
ভালুকে-শেয়ালে হাঁসে-ছাগলে তর্ক বেধে গেল, দেশের জানোয়ার সেই তর্কে যোগ দিয়ে চেঁচামেচি হট্টগোল বাধিয়ে দিলে।
শিকরা বহরী বাসা বাজ তুরমুতি
কাহা কুহী লগড় ঝগড় জোড়াথুতি
ঠোঁট ভেটি ভাটা হরিতাল গুড়গুড়
নানাজাতি কাক পেঁচা বাবুই বাদুড়।
সবাই মিলে তর্ক লাগিয়েছে—“যাও-যাও হুঁদি খাও!” এমন সময় গণ্ডগোল শুনে পাহাড়ের গুহা থেকে বুড়ো লামা-ছাগল বেরিয়ে এলেন—