পাতা:বুড়ো আংলা-অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৫৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

হবিষে স্বাহা অহঃ চিটপটাং হুং শান্তি ভূশান্তিং ভ্যূতরশান্তি অযুধেঃশান্তি ছহরি ছিহরি ছিহরি হরিবোল হরিবোল হরিবোল সূর্য প্রণাম।” গণেশ খুশি হয়ে দুবার ঘাড় নেড়ে “তথাস্তু” বলে চোখ বুজলেন।

 রিদয় আস্তে-আস্তে ঢোলক নিয়ে বেরিয়ে এল। দরোয়ান ঘরের দুয়োরেই দাঁড়িয়ে ছিল, সে অমনি বখশিশের জন্যে হাত পাতল, রিদয় এদিক-ওদিক দেখে আস্তে-আস্তে মান-কচুর শিকড়টি বার করে বললে—“দরোয়ানজী আর তো সঙ্গে কিছু নেই, এইটে নাও।”

 দরোয়ান “হাৎ-তেরি,” বলে হাত ঝাড়া দিলে।

 শিকড় যেমন মাটিতে পড়া অমনি পেচা রিদয়কে ছোঁ দিয়ে একেবারে ঘুরোনো সিঁড়ি বেয়ে ছাতে এসে উপস্থিত। সঙ্গে-সঙ্গে পেঁচো এসে রিদয়কে পেয়ে বসল—রিদয় অজ্ঞান হয়ে পড়ল আর বহুরূপীর চামড়ার মতো তার গায়ের রঙ লাল, নীল, হলদে, রকম-রকম বদলাতে আরম্ভ করলে। হাড়গিলে অমনি তাড়াতাড়ি ছুটে এসে মন্তর পড়ে পেঁচো ঝাড়তে বসে গেলেন:

 স্কন্ধাপসার শকুনী
 অন্ধ পুতনা শীত পুতনা মুখমণ্ডিকা
 নৈগমেষ প্রসীদতু
 ক্লীং চর্চ্চ হুং হুং ঝংশা
 ওঁলং শ্রীং কপালিকং জং জং
 তিষ্ঠতি মূষিকং চং চং চর্ব্বশং হংসঃ
 হুং ফট্‌ স্বাহা।

 মন্তরের চোটে রিদয় হাঁ করলে, যেন খেতে এল, অমনি চট করে হাড়গিলে ধুনোপড়া বেড়ি পেঁচোর মুখবন্ধন করে দিলেন:

১৫৮