রিদয়ের একটু তন্দ্রা এসেছে, এমন সময় বুদি আবার বলে উঠল—“ওমা গো, ভাই পাত্তরের পুত্তুর একটুখানি জল এনে দিতে পার?”
নেউল ঘুমের ঘোরে বললে—“এত রাতে জল পাই কোথা!”
বুদি বিনয় করে বললে—“বাইরেই বিষ্টির জল জমা হয়েছে, উঃ বড় তেষ্টা, আমার গলার দড়িটা যদি খুলে দাও তো ওখানে গিয়ে একটু জল খেয়ে বাঁচি!”
নেউল বুদির গলার দড়িটা দাঁতে কেটে দিয়ে বললে—“যাও তবে!”
বুদি দু-পা গিয়ে বললে—“ইস ভারি অন্ধকার, ভাই কোটালের পুত্তুর।”
খটাস আধবোজা চোখ মেলে বললে—“কি?”
বুদি একে রাতকানা তাতে আবার কানে কালা হয়েছে, খটাস কি বললে—শুনতেই পেলে না। আবার ডাকলে—“ও ভাই কোটালের পুত্তুর আমি রাতকানা, যদি গলার দড়িটি ধরে একটুখানি এগিয়ে দিয়ে এস তো ভালো হয়!”
“ভালো বিপদেই পড়া গেল,” বলে খটাস দড়িটা ধরে বুদিগাইকে উঠানের মাঝে টেনে নিয়ে অন্ধকারে দাঁড় করিয়ে সরে পড়ল!
রাত তখন বারোটা, খড়ের গাদায় তিন বন্ধুতে আরামে নিদ্রা যাচ্ছে, এমন সময় বুদিগাই এসে সবার কানে কানে বললে—“বড় বিপদ, বুড়িটা মরে গেছে!”
রিদয় তাড়াতাড়ি চোখ মুছে বললে—“সেকি! মরলো কেমন করে?”
বুদি নিশ্বেস ফেলে বললে—“দুঃখের কথা কইব কি, এই সন্ধ্যেবেলা সে আমার গলাটি ধরে বলে গেল—“বুদি শুনেছিস এই নাটবাড়ির জলায় রাজা এবার ধান বোনবার হুকুম দিয়েছেন, এতকালে জমি সব আবাদ