পাণ্ডার জবাব হল—“এল বলে বৃষ্টি—চল চটপট!”
সেথোরা বললে—“সব দিল ঘোমটা টেনে।”
পাণ্ডা বললে—“এল বিষ্টি এল হেনে!”
“ছুঁচোয় গড়েছে মাটির ঢিপি।”
“বিষ্টি পড়বে টিপিটিপি।”
“সাগরের পাখি ডাঙায় গেল।”
“ঝড়-জল বুঝি এবার এল”
“কাক যে বাসায় একলা বড়!”
“গতিক খারাপ; নেমে পড়, নেমে পড়।”
অমনি সব হাঁস ঝুপ-ঝুপ করে খালে-বিলে নেমে পড়ে আপনার-আপনার পিঠের পালকগুলো জল দিয়ে বেশ করে ভিজিয়ে নিলে, পাছে পালকগুলো শুকনো থাকলে বিষ্টির জল বেশি করে চুষে নেয়। দেখতে-দেখতে ঝড়ো-বাতাস ধুলোয়-ধুলোয় চারদিক অন্ধকার করে দিয়ে বড়-বড় গাছের আগ দুলিয়ে শুকনো ডাল-পাতা উড়িয়ে হুহু করে বেরিয়ে গেল। তারপরই একপশলা বৃষ্টি হয়ে গেল—খাল-বিল ভর্তি করে দিয়ে। একটু পরে বিষ্টি থেমে আবার রোদ উঠল; তখন দলে-দলে হাঁস, বক, সারস আবার চলল—আকাশ পথে আগের মতো বলাবলি করতে-করতে—
“মাকড় আবার জাল পেতেছে।”
“আর ভয় নেই—রোদ এসেছে।”
“মৌচাক ছেড়ে মাছিরা ছোটে।”
“বাদলের ভয় নাইকো মোটে।”
“বনে-বনে ওঠে পাখির সুর।”
“উড়ে চল, পার যতদূর।”