পাতা:বুড়ো আংলা-অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৩৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

 জোরে চলায় নাই কোনো দায়,
 আস্তে গেলেই হাঁপ লেগে যায়!

 অমনি সব হাঁস একসঙ্গে বলে উঠল—“চলে চল, চলে চল, ভাই, চলে চল।”

 চকার কথা-মাফিক খোঁড়া হাঁস জোরে চলতে চেষ্টা করতে দুগুণ হাঁপিয়ে পড়ল; আর সে আস্তে-আস্তে ক্রমে মাঠের ধারে-ধারে নারকোল গাছের প্রায় মাথা পর্যন্ত নেমে পড়বার মতো হল। তখন সেথো হাঁসরা আবার ডাক দিলে—“চকা-নিকোবর—চকা-চকা-চকা!”

 এবার চকা গরম হয়ে বললে—“ক্যেঁন্ কর ভ্যেঁন ভ্যেঁন?”

 সেথোরা বলে উঠল—“খোঁড়া হাঁস তলিয়ে যায়!”

 চকা একবার চেয়েও দেখলে না, যেমন বেগে চলেছিল তেমনি পুরো দমে যেতে-যেতে বললে—“বল ওকে হাল্কা হাওয়ায় উঠে আসতে।”

 নিচের বাতাস ঠেলা মুশকিল,
 ডানা নেড়ে-নেড়ে লাগে ঘাড়ে খিল।
 উপর বাতাস পাতলা ভারি,
 এক ঝাপটে বিশ হাত মারি।

 খোঁড়া হাঁস চকার কথায় উপরে ওঠবার চেষ্টা করতে লাগল; কিন্তু এবার বাতাস ঠেলে উঠতে বেচারার দম নিকলে যাবার যোগাড় হল।

 আবার সেথোরা ডাক দিলে—“চকা! চকা!”

 “কেনে? চলতে দিবে না নাকি!”—বলে চকা গোঁ হয়ে উড়ে চলল।

 সেথোরা বললে—“খোঁড়া-বেচারার প্রাণসংশয়!”

 চকা রেগে উত্তর দিলে—

৩৭