পাতা:বুড়ো আংলা-অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৯৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

 অশ্বিনীদিদি! আমারে দুখিনী দেখিয়া পিতে
 অবজ্ঞা করিয়া যজ্ঞে আজ্ঞা না করিলেন যেতে,
 নিজ বাপ নহে অন্য শুনে হৃদে এই ক্ষুণ্ণ
 আমা ভিন্ন নেমন্তন্ন করেছেন এই ত্রিজগতে।

 অশ্বিনীদিদি আঁচলে সতীর চোখের জল মুছিয়ে বললেন—‘তুই চল না। বাপের বাড়ি যাবি তার আবার নেমন্তন্ন কিসের? আয় আমার এই পালকিতে!’

 সতী ঘাড় নেড়ে বললেন—‘না ভাই—তিনি রাগ করবেন!’

 ‘তবে তুই তাকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে পরে আয়’—বলে সতীর দিদিরা—

 চতুর্দোলে সবে চড়ি চলিলেন হরষে
 হেথায় শঙ্করী ধেয়ে করপুটে দাণ্ডাইয়ে
 চরণে প্রণতি হয়ে কহিলেন গিরিশে
 আমি বাপের বাড়ি যাব!

 শিব বললেন—

 সতী তুমি যেতে চাচ্ছ বটে,
 পাঠাইতে না হয় ইচ্ছা দক্ষের নিকটে।

 আমাদের শ্বশুর জামায়ে কেমন ভাব, শোনো—

 আমাদের ভাব কেমন জামাই শ্বশুরে, যেমন দেবতা আর অসুরে,
 যেমন রাবণ আর রামে, যেমন কংস আর শ্যামে,
 যেমন স্রোতে আর বাঁধে, যেমন রাহু আর চাঁদে,
 যেমন জল আর আগুনে, যেমন তেল আর বেগুনে,

৯৫