সমগ্র পৃথিবী যাঁহাদিগকে মহামানব বলিয়া বন্দনা করিয়া থাকে, তাঁহাদের জীবন ও বাণী-অবলম্বনে ক্ষুদ্র বৃহৎ সম্প্রদায়ের সৃষ্টি হইয়া থাকিলেও তাঁহারা সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতার বহু ঊদ্ধে বিরাজ করিয়া থাকেন। জ্ঞানে বিজ্ঞানে ভাষায় আচারে আকারে বর্ণে গুণে মানুষে মানুষে বৈষম্য আছে এবং চিরকালই থাকিবে; এত সব ভেদবিভেদ-সত্ত্বেও মানুষের আত্মা দেশদেশান্তরের মানবের সহিত আপনার ঐক্যানুভূতির নিমিত্ত ক্রন্দন করিয়া থাকে। সাধারণতঃ যে সমাজের মধ্যে মানুষ জন্মগ্রহণ করে, সেই সমাজ তাহার মনের উপর অসামান্য প্রভাব বিস্তার করিয়া থাকে; দেশাচার, লোকাচার এবং বংশগৌরব ইত্যাদি নানা কৃত্রিম ব্যবধান ধর্ম্মের নাম ধারণ করিয়া তাহার শুভবুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করিয়া রাখে। এক একটি সমাজ বা সম্প্রদায় এমনি করিয়া শত শত নরনারীকে আপন আপন পরিকল্পিত প্রাচীরমধ্যে বদ্ধ করিয়া রাখিয়া থাকে। অভ্যস্ত ও সুপরিচিত সীমার মধ্যে চলিয়া-ফিরিয়া মানুষের বুদ্ধি এমন জড়তাপ্রাপ্ত হইয়া থাকে যে, গণ্ডীর মধ্যে বাস করাই সে সুখকর বলিয়া মনে করে এবং গণ্ডী অতিক্রম করিয়া বাহিরের সহিত আপনার যোগসাধন করিবার নিমিত্ত কোনো উৎসাহ বোধ করে না। এইরূপ দেখা যায় যে, প্রত্যেক সমাজের বা সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন এক-এক জন প্রতিভাশালী মহাত্মার আবির্ভাব