এইরূপ কথিত আছে, বিমল বোধিলাভ করিয়া ভগবান্ বুদ্ধদেব বলিয়াছিলেন—
অনেকজাতিসংসারং সন্ধাবিস্সং অনিব্বিসং।
গহকারকং গবেসন্তো দুক্খা জাতি পুনপ্পুনং॥
গহকারক! দিট্ঠোঽসি, পুন গেহং ন কাহসি
সব্বা তে ফাসুকা ভগ্গা গহকুটং বিসংঙ্খিতং।
বিসঙ্খারগতং চিত্তং তণ্হানং খয়মজ্ঝগা।
গৃহকারকের সন্ধান করিয়া তাহাকে না পাইয়া কতবার জন্মগ্রহণ করিলাম, কত সংসার পরিভ্রমণ করিলাম; পুনঃ পুনঃ জন্মগ্রহণ করিয়া কি দুঃখই পাইলাম! হে গৃহকারক, এবার তোমার দেখা পাইয়াছি, এবার আর গৃহরচনা করিতে পারিবে না, তোমার সকল স্তম্ভ ও গৃহভিত্তি ভগ্ন হইয়াছে, আমার বিগতসংস্কার চিত্তের সকল তৃষ্ণা ক্ষয়প্রাপ্ত হইয়াছে।
এই বাণীটির মধ্যে সুস্পষ্ট দেখিতে পাই, একই গৃহকারক জীবের জন্মান্তরের মধ্য দিয়া স্রোতোরূপে প্রবহমাণ এবং এই গৃহকারক মানবের মহাবোধির প্রত্যক্ষ গোচর হইলেই, গৃহের সাজসরঞ্জাম্ চুর-মার হয় এবং গৃহকারকের সকল ক্ষমতা পরাহত হইয়া যায়। গৃহকারকের প্রতিষ্ঠাভূমি সংস্কার ও তৃষ্ণা; কারণ সংস্কারের ও তৃষ্ণার ক্ষয় হইলে তাহার আর পাদক্ষেপের স্থানপর্য্যন্ত থাকেনা।