পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/১৫৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বুদ্ধের জীবন ও বাণী

বলিয়া এই সাধনার চরমলক্ষ্যকে কোনোক্রমে পরিমিত বলা চলে না। নিরবশেষ আত্মত্যাগ করিয়া যে লাভ তাহাই পরম লাভ। সুতরাং বৌদ্ধসাধক সাধনায় সিদ্ধিলাভ করিয়া পরম শ্রেয়ো লাভ করেন, ইহা ধ্রুব নিশ্চিত।


বৌদ্ধ সাধকের আদর্শ

 জীবের অপরিহার্য্য দুঃখ মহাপুরুষ বুদ্ধের চিত্ত করুণায় দ্রব করিয়াছিল। তিনি যে আষ্টাঙ্গিক সাধনমার্গ আবিষ্কার করিয়াছেন সেই সাধন প্রণালী দুঃখ নিবৃত্তিরই সাধনা। সাধনায় সিদ্ধিলাভ করিয়া প্রজ্ঞাদৃষ্টিদ্বারা শোকশল্যের সংস্থান অবগত হইয়াই তিনি সর্ব্বজীবের হিতার্থ এই পথ নির্দেশ করিয়াছেন।

 নির্ব্বাণলাভের জন্য যাঁহাদের চিত্ত ব্যাকুল হইয়া উঠে সেই সকল ধর্ম্মপ্রাণ ব্যক্তিদের মধ্যে তিনশ্রেণীর সাধক দৃষ্ট হইয়া থকে। ইহাদের একদল তথাগতের বাণী শিরোধার্য্য করিয়া তাঁহারই নির্দ্ধারিত পথে বিহরণ করেন। দুঃখের অস্তিত্ব, উদ্ভব, নিবৃত্তি এবং নিবৃত্তির উপায় এই চতুরার্য্য সত্য সম্যক্ উপলদ্ধি করিয়া নির্ব্বাণ লাভই তাঁহাদের একমাত্র লক্ষ্য। ইহার “শ্রাবক” নামে অভিহিত হইয়া থাকেন।

 দ্বিতীয় শ্রেণীর সাধকগণও বিশুদ্ধ জ্ঞানের দ্বারা শান্তিপদ নির্ব্বাণ লাভের নিমিত্ত তথাগতের প্রদর্শিত পন্থা অবলম্বন করেন। জন্মহেতু জীবকুল জরাব্যাধি ও মৃত্যুর যাতনা ভোগ করিতেছে,

১২৮