বুদ্ধের জীবন ও বাণী
সিদ্ধার্থ আপনাকে ভাগ্যবান মনে করিলেন। হিতৈষিণী সাধ্বী পত্নীর সাহচর্য্যে তাঁহার জীবন সুখময় হইল। গার্হস্থ-জীবনের সুখভোগে তাহার জীবনের কিয়ৎকাল কাটিয়া গেল।
সমগ্র মানবজাতিকে দুঃখ হইতে মুক্ত করিবার কল্যাণকর সুমহৎ ব্রত যাঁহাকে গ্রহণ করিতে হইবে, সংসারের ক্ষণস্থায়ী সুখভোগ তাঁহাকে কেমন করিয়া বাঁধিয়া রাখিবে? রাজ-অন্তঃপুরের প্রচুর ভোগবিলাসের আড়ম্বরের মধ্যে অবস্থিত হইলেও সিদ্ধার্থ আপনার চিত্তে কখন কখন বাহির হইতে করুণ আহ্বান শুনিতে পাইতেন। জরা, ব্যাধি ও মৃত্যু নিরন্তর সমস্ত প্রাণীর জীবন দুঃখময় করিয়া রাখিয়াছে; ইহাদের আক্রমণহইতে কি উপায়ে জীবকুল নিষ্কৃতি লাভ করিতে পারে, এই চিন্তা বিদ্যুৎ-স্ফুরণের ন্যায় সময়ে সময়ে তাঁহার মনে উদিত হইত। জীবনের উচ্চ লক্ষ্য ক্ষীণভাবে তাঁহার নিকটে প্রকাশ পাইত। মনের এইরূপ অবস্থায় সিদ্ধার্থকে ভোগবিলাস শান্তিদান করিতে পারিত না। গভীর দুঃখে তাঁহার হৃদয় পরিপূর্ণ হইয়া উঠিত।
একদা বসন্তকালে সিদ্ধার্থের নগরভ্রমণের বাসনা হইল। তিনি