পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/৬৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বুদ্ধের জীবন ও বাণী

 যশের পিতা পুত্রের সন্ধানে আসিয়া বুদ্ধের মধুর উপদেশ শ্রবণে মুগ্ধ হইলেন। তিনি প্রথমে বুদ্ধের গৃহশিষ্য হইলেন। যশ আর সংসারে ফিরিলেন না, তিনি নবধর্ম্মে দীক্ষিত হইয়া সংঘে যোগদান করিলেন।

 অল্পদিন মধ্যে বুদ্ধের খ্যাতি চারিদিকে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িল; তাঁহার মুখে মধুর ধর্ম্মকথা শুনিবার জন্য দলে দলে লোক আসিতে লাগিল। শান্তিপ্রদ নির্ব্বাণলাভের জন্য কেহ কেহ প্রচলিত ধর্ম্মমত ত্যাগ করিয়া নবধর্ম্ম গ্রহণ করিল। কয়েক মাস মধ্যে বুদ্ধের শিষ্যসংখ্যা ষাট্ হইল। তিনি সমস্ত বর্ষা ঋতু শিষ্যদের লইয়া নবধর্ম্মের তত্ত্ব আলোচনা করিলেন। সত্যান্বেষী শ্রদ্ধালুগণের চিত্তে এই ধর্ম্মের মঙ্গলবাণী চিরদিনের জন্য মুদ্রিত হইয়া গেল। বর্ষান্তে বুদ্ধ শিষ্যদিগকে কহিলেন—“ভিক্ষুগণ, বহুজনের হিতের জন্য বহুজনের সুখের জন্য লোকের প্রতি অনুকম্পা করিয়া এই আদিকল্যাণ, মধ্যকল্যাণ, অন্তকল্যাণ নবধর্ম্মের নির্ব্বাণবাণী তোমাদিগকে দেশে দেশে দিকে দিকে প্রচার করিতে হইবে। তোমরা একদিকে দুইজন যাইও না। কামনার ধূলিজাল যাহাদের মনশ্চক্ষু আচ্ছন্ন করে নাই, তাহারা অনায়াসে এই ধর্ম্মের সত্য প্রত্যক্ষ করিবে। অমৃতের স্বাদ পাইলে মানব প্রবৃত্তির দাসত্ব ত্যাগ করিয়া নির্ব্বাণপথের যাত্রী হইবে। তোমরা অকুণ্ঠিত উৎসাহের সহিত মানবের ঘরে ঘরে পরিত্রাণের শুভবাণী প্রচার কর।”

 বুদ্ধ স্বয়ং ধর্ম্মপ্রচারোদেশে উরুবিল্বের অভিমুখে যাত্রা করিলেন। শিষ্যেরাও গুরুর আদেশ শিরোধার্য্য করিয়া বিভিন্নদিকে প্রচারের জন্য বাহির হইলেন। উরুবিল্ব তখন জটিল সম্প্রদায়ভুক্ত অগ্নি-

৩৮