পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/৭২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
নবধর্ম্মের প্রচার ও ব্যাপ্তি

বয়সে একান্ত অপ্রবীণ, আমি কিরূপে আপনার নিকটে ইহা ব্যাখ্যা করিব?” উপতীষ্য কহিলেন—“মহাত্মন্, আপনার কোনপ্রকার সঙ্কোচের হেতু নাই, আপনি আপনার ধর্মের বাণী অনুগ্রহপূর্ব্বক আমার নিকট কিঞ্চিৎ ব্যাখ্যা করিলে আমি পরম আনন্দ লাভ করিব।” অতঃপর অশ্বজিতের মুখে নবধর্ম্মের মধুর কথা শুনিয়া উপতীষ্য এই ধর্ম্মের আশ্রয় গ্রহণ করিবার জন্য ব্যাকুল হইলেন। তিনি ক্ষণবিলম্ব না করিয়া তাঁহার প্রিয় সুহৃদ্‌ কালিতের নিকট গমন করিলেন এবং তাঁহাকে জানাইলেন যে, তিনি এতদিন পরে নির্ব্বাণপথের সন্ধান পাইয়াছেন। দুই বন্ধু অল্পদিন-মধ্যেই নবধর্ম্মে দীক্ষিত হইলেন। দীক্ষা গ্রহণ করিয়া উপতীষ্য সারিপুত্র এবং কালিত মোদ্‌গল্যায়ন নাম লাভ করিলেন। এই বন্ধুযুগল তাঁহাদের অবিচলিত ধর্ম্মনিষ্ঠার জন্য অবিলম্বে সংঘমধ্যে প্রাধান্য লাভ করেন।

 ইহার কিছুদিন পরে এক পূর্ণিমারজনীতে বুদ্ধের শিষ্যগণ রাজগৃহের নিকটবর্ত্তী এক গিরিগুহায় সমবেত হন। সম্মিলিত সাধুদের নিকটে ধর্ম্মতত্ত্ব ব্যাখ্যা করিবার সময়ের প্রারম্ভে বুদ্ধ বলিয়াছিলেন—

সর্ব্বপাপস্‌স অকরণং কুসলস্‌স উপসম্পদা।
সচিত্তপরিয়োদপনং, এতং বুদ্ধান সাসনং॥

 সকলপ্রকার পাপের বর্জ্জন, কুশল কর্ম্মের অনুষ্ঠান এবং চিত্তের নির্ম্মলতাসাধন, ইহাই বুদ্ধগণের অনুশাসন।

 মগধপ্রদেশে অনেকে নবধর্ম্ম গ্রহণ করায়, তত্রত্য রক্ষণশীলদের মধ্যে একটি অসন্তোষের ভাব প্রকাশ পাইল। তাঁহারা বলিতে লাগিলেন—“শাক্যমুনি পতিপত্নীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাইয়া সৃষ্টি বিলোপ

৪১