“সুদক্ষ যোদ্ধা যেমন যুদ্ধের সর্ব্ববিধ কৌশল অবগত বলিয়া নিপুণতার সহিত যুদ্ধ পরিচালনা করিয়া থাকেন, সাধুশীল বুদ্ধিমান্ দাতাও তেমনি কালাকাল পাত্রাপত্র নির্ব্বাচন করিতে জানেন বলিয়া সুচারুরূপে তাঁহার পুণ্যব্রতের অনুষ্ঠান করিয়া থাকেন। এইরূপ যে দাতার চিত্ত প্রতিও করুণার রসে অভিষিক্ত, তিনি শ্রদ্ধাপূর্ব্বক দান করিয়া থাকেন; তাঁহার হৃদয় হইতে ঘৃণা হিংসা দ্বেষ ও ক্রোধ অন্তর্হিত হইয়া যায়।”
“দানশীল সাধুর মঙ্গলকর্ম্ম তাঁহার মুক্তির সোপান। তিনি তাঁহার মঙ্গলব্রতরূপে যে সরস বৃক্ষাঙ্কুর রোপণ করেন, তাহা ভবিষ্যতে তাঁহাকে ছায়া পুষ্প ফল দান করিবেই।”
অনাথপিণ্ডদ কোশলে ফিরিবার সময়ে বিহারের স্থান নির্ব্বাচন করিয়া দিবার নিমিত্ত সারিপুত্রকে সঙ্গে লইয়া গেলেন।
বুদ্ধদেব যখন রাজগৃহে অবস্থান করিতেছিলেন, তখন তাঁহার পিতা শুদ্ধোদন লোকদ্বারা পুত্রকে জানাইলেন—“আমি এক্ষণে বৃদ্ধ, অল্পদিনমধ্যেই হয়তো আমাকে ইহলোক ত্যাগ করিতে হইবে; মৃত্যুর পূর্ব্বে একবার তোমাকে দেখিবার জন্য আমার চিত্ত উৎকণ্ঠিত হইয়াছে। তোমার নবধর্ম্মের বাণী সহস্র সহস্র লোকে শ্রবণ করিয়া উপকৃত হইতেছে; তোমার জনক ও স্বজনদিগকে উহা হইতে বঞ্চিত করিতেছ কেন?”
দূতমুখে পিতার অভিপ্রায় অবগত হইয়া বুদ্ধ অবিলম্বে কপিলবাস্তু যাত্রা করিলেন। তথায় নগরের সমীপবর্ত্তী একটি উদ্যানে তিনি সশিষ্যে আশ্রয় গ্রহণ করেন।
গৃহত্যাগের সাত বৎসর পরে পিতা পুত্রকে আবার সংসারে