বুদ্ধকে শ্রাবস্তীগরে আহ্বান করেন। তিনি পদব্রজে রাজগৃহ হইতে শ্রাবস্তীনগরে আগমন করিয়াছিলেন। নগরের সমস্ত নরনারী বিরাট শোভাযাত্রা করিয়া অগ্রগামী হইয়া মহাপুরুষকে অভ্যর্থনা করিল। অগণন পুষ্পে আচ্ছাদিত এবং ধূপ, ধুনা প্রভৃতি গন্ধদ্রব্যের সুগন্ধে আমোদিত বিহারমধ্যে বুদ্ধ প্রবেশ করিলেন। অনাথপিণ্ডদ পৃথিবীর সাধুদিগের বাসের নিমিত্ত বিহারটি যথারীতি বুদ্ধের চরণে অৰ্পণ করিলেন। বুদ্ধ দান গ্রহণ করিয়া সুধাকণ্ঠে কহিলেন—“সমস্ত অমঙ্গল দূর হউক, এই মহৎ দান ধর্ম্মরাজ্য-প্রতিষ্ঠার আনুকূল্য করুক ও এই দান সমস্ত মানবের ও দাতার কল্যাণের আকর হউক।”
——:০:——
অন্তিম জীবনবার্দ্ধক্যের আক্রমণে মহাপুরুষ বুদ্ধদেবের দেহ এখন অবসন্ন হইয়া আসিতেছে। এতদিন তিনি বঙ্গ, মগধ, কলিঙ্গ, উৎকল, বারাণসী, কোশল প্রভৃতি নানা রাজ্যে তাঁহার সদ্ধর্ম্ম প্রচার করিয়াছেন; আর্য্য ও অনার্য্য উভয় সম্প্রদায়ই তাঁহার শ্রেষ্ঠধর্ম্ম গ্রহণ করিয়াছে।
একদা শরৎকালে তিনি গৃধ্রকুট পর্ব্বতে অবস্থান করিতে-