ছিলেন এই সময়ে বিম্বিসারসূত অজাতশত্রু বৃজ্জিদিগকে বিনাশ করিবার জন্য যুদ্ধের আয়োজনে প্রবৃত্ত হইলেন। মহাপুরুষ বুদ্ধের আগমনসংবাদ শ্রবণ করিয়া তিনি তাঁহার মন্ত্রী বর্ষকারকে কহিলেন, “মন্ত্রিন্, তুমি জান আমি বৃজ্জিদের উচ্ছেদসাধনের জন্য তুমুলযুদ্ধের আয়োজন করিতেছি, মহাত্মা বুদ্ধদেব অদূরবর্ত্তী গৃধ্ৰকুট শৈলে অবস্থান করিতেছেন, তুমি আমার নাম করিয়া তাঁহার কুশল সংবাদ জিজ্ঞাসা করিয়া তাঁহাকে আমার অভিপ্রায় জ্ঞাপন করিও, তিনি তাঁহার উত্তরে যাহা বলিবেন, তুমি তাঁহার সেই উক্তি শ্রবণ করিয়া আসিয়া যথাযথ আমার নিকটে আবৃত্তি করিবে; মহাপুরুষের বাক্য কদাচ ব্যর্থ হইতে পারে না।”
মন্ত্রী বুদ্ধের সমীপে গমন করিয়া রাজার বক্তব্য জানাইলেন। বুদ্ধ তাঁহার উপস্থায়ক আনন্দকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন—“আনন্দ, তুমি কি শোন নাই যে, বৃজ্জিরা পুনঃপুনঃ সাধারণ সভায় সম্মিলিত হইয় থাকে?”
আনন্দ উত্তর করিলেন—“হা, প্রভু শুনিয়াছি।”
বুদ্ধদেব আবার বলিলেন—“দেখ আনন্দ, এইরূপে ঐক্যবন্ধন স্বীকার করিয়া যতকাল বৃজ্জিরা বারংবার সাধারণ সভায় মিলিত হইতে পারিবে, ততদিন তাহাদের পতন নাই, তাহদের উত্থান অবশ্যম্ভাবী। যতকাল তাহারা বয়োজ্যেষ্ঠদের শ্রদ্ধা করিবে, নারীদের সম্মান করিবে, ভক্তিপূর্ব্বক ধর্ম্মানুষ্ঠান করিবে, সাধুদিগের সেবায় ও রক্ষায় উৎসাহী থাকিবে, ততদিন তাহাদের পতন নাই, ততদিন ক্রমশঃ তাহারা উন্নতি লাভ করিবে।” বুদ্ধ তখন মন্ত্রীকে সম্বোধন করিয়া জানাইলেন—“আমি যখন বৈশালীতে ছিলাম তখন আমি