পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/৮৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
অন্তিম জীবন

স্বয়ং বৃজ্জিদিগকে ঐ সকল সামাজিক মঙ্গলকর নিয়ম শিক্ষা দিয়াছি; যতকাল তাহারা সেই উপদেশ স্মরণ রাখিয়া মঙ্গলপথে বিচরণ করিবে ততদিন তাহাদের অভ্যুত্থান সুনিশ্চিত।”

 মন্ত্রী চলিয়া যাইবার পরে রাজগৃহের ভিক্ষুগণ বুদ্ধের সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। তিনি তাহাদিগকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন—হে ভিক্ষুগণ! আমি আজ তোমাদিগের নিকট সঙ্ঘের মঙ্গলবিধি ব্যাখ্যা করিব। তোমরা প্রণিধান কর—“যতদিন তোমরা উপস্থানশালায় এক হইয়া মিলিতে পারিবে, সকলে সমবেতভাবে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করিবে, সংঘের সমস্ত কার্য্য সম্মিলিত হইয়া সম্পন্ন করিবে, অভিজ্ঞাত কুশলগুলি প্রতিপালনে সঙ্কুচিত হইবে না, অপরীক্ষিত নববিধিগ্রহণে ইতস্ততঃ করিবে, যতদিন তোমরা প্রবীণদিগকে শ্রদ্ধাভক্তি ও সেবা করিবে এবং তাঁহাদের আদেশ বিনীতভাবে মানিয়া চলিবে, যতদিন তোমরা কামলালসার অধীন না হইবে, যতদিন তোমরা ধর্ম্মসাধনায় আনন্দিত হইবে, যতদিন তোমাদের সন্নিধানে সাধুসমাগম হইবে, যতদিন অলসতা ও অনুদ্যম পরিহার করিয়া তোমরা মনকে সত্যানুসন্ধানে নিযুক্ত রাখিবে ততদিন তোমাদের পতনের কোন আশঙ্কা থাকিবে না। অতএব হে ভিক্ষুগণ, তোমরা মন বিশ্বাসে ও বিনয়ে ভূষিত কর, তোমরা পাপাচরণে ভীত হও, জ্ঞানলাভের নিমিত্ত তোমাদের মন জাগরিত হউক! তোমাদের উৎসাহ অবিচলিত ও চিত্ত অনলস হউক! তোমাদের বোধিলাভ হউক!”

 গৃধ্রকুট ত্যাগ করিবার পরে বুদ্ধ নানা স্থানে ভ্রমণ করিয়া কিছুদিন নালন্দায় বাস করেন। সেখান হইতে তিনি পাটলি

৫৩