পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/৯২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
অন্তিম জীবন

 বুদ্ধ শিষ্যদিগকে আরো বিশদভাবে বলিলেন—“ভিক্ষুগণ! কোনো ব্যক্তি এরূপও বলিতে পারেন যে, আমি বুদ্ধের এই বাণীটি একদল ভিক্ষুর মুখে কিংবা কোন স্থানের স্থবিরদের মুখে অথবা কোনো এক বিদ্বান্‌ ভিক্ষুর মুখে স্বয়ং শুনিয়াছি, তোমরা বাণীটির প্রত্যেক বাক্য, প্রত্যেক শব্দ, মনোনিবেশপূর্ব্বক শ্রবণ করিবে; ঐ বাণী ধর্ম্মের ও বিনয়ের নিয়মের সহিত মিলাইয়া লইতে চেষ্টা করিবে; যদি কোনরূপে সামঞ্জস্য বিধান করিতে না পার তাহা হইলে বুঝিবে ঐ বাণী আমার নহে কিংবা ঐ ব্যক্তি আমার বাক্যের নিগূঢ় অর্থ গ্রহণ করিতে পারেন নাই।”

 বুদ্ধ সশিষ্য ভ্রমণ করিতে করিতে পাবাগ্রামের চুন্দনামক কোন কর্ম্মকারের আম্রকুঞ্জে উপস্থিত হইলেন। এই সংবাদ শুনিবামাত্র চুন্দ তথায় গমন করিয়া শ্রদ্ধাসহকারে মহাপুরুষের চরণ বন্দনা করিল। বুদ্ধের মুখে অমৃতময়ী ধর্ম্মকথা শুনিয়া পরম আনন্দ লাভ করিয়া সে তাঁহাকে পরদিন অনুচরগণসহ আপন ভবনে আহারের জন্য আহ্বান করিল। মৌনালম্বন করিয়া বুদ্ধ এই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করিলেন।

 পরদিন চুন্দ ভিক্ষুদের সেবার জন্য শ্রদ্ধাপূর্ব্বক অন্ন, পিষ্টক এবং শুষ্ক শূকরমাংস রন্ধন করাইল। বুদ্ধের নিয়ম ছিল যে, তিনি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তিদের প্রদত্ত সর্ব্বপ্রকার আহার্য্য গ্রহণ করিতেন। আহারে উপবেশন করিয়া বুদ্ধ চুন্দকে কহিলেন—“হে চুন্দ, তুমি একমাত্র আমাকেই এই শূকরমাংস পরিবেষণ কর, ভিক্ষুদিগকে এই মাংস দিও না।” বলা বাহুল্য, বুদ্ধ কখনো মাংস আহার করিতেন না। এই গুরুপাক অনভ্যস্ত দ্রব্য ভোজন করিয়া তিনি

৬১