পাতা:বৃত্রসংহার - প্রথম খণ্ড (হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

#/o পূৰ্ব্ব লেখকদিগের প্রদর্শিত পথ একেবারে পরিত্যাগ করিতেও পারি নাই । এ পুস্তকে বজ্রসূষ্টির পূৰ্ব্বে বিদ্যুতের অস্তিত্ব কম্পিত ছইয়াছে দেখিয়া পাঠকবর্গের আপাততঃ বিস্ময় জন্মিতে পারে । অধুনাতন বিজ্ঞানশাস্ত্র অনুসারে বিহ্বাচ্ছটার প্রকাশ ও বজ্রধনির উৎপত্তি একই কারণ হইতে হইয়া থাকে, একের অভাবে অন্যের অস্তিত্ব সস্তাবিত নহে । কিন্তু ইন্দ্রের বজ্র বিজ্ঞানশাস্ত্রনিরূপিত বজ্র নছে। অতএব ইন্দ্রের বজ্রসূষ্টির পূৰ্ব্বে বিদ্যুতের অস্তিত্ব কল্পনা করা বোধ হয় তাদৃশ উৎকট श्ध्न मांद्दे ! পরিশেষে নিবেদন এই যে, সকল বিষয়ে কিম্বা সকল স্থানে পৌরাণিক বৃত্তান্তের অবিকল অনুসরণ করি নাই। দৃষ্টান্তস্বরূপ এস্থলে কৈলাসের উল্লেখ করিতেছি । পৌরাণিক বৃত্তান্ত অনুসারে কৈলাসের অবস্থিতি হিমালয় পৰ্ব্বতের উপর না করিয়৷ অন্যত্র কল্পনা করিয়াছি । ইহার দোষ গুণ পাঠকগণ বিবেচন। করিবেন । কলিকাতা, খিদিরপুর। } ১৮ পৌষ, ১২৮১ সাল ।