পাতা:বৃহদারণ্যকোপনিষদ্‌.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথমোহধ্যায়ঃ--তৃতীয়ং ব্রাহ্মণম্। ડે8૭ ভগৱানুবাদ 1—“তে দেবাঃ” ইত্যাদি। ভাল, বাক প্রভৃতি ইজিয়েরও যখন অন্ধভক্ষণজনিত উপকার দেখিতে পাওয়া যায়, তখন ‘প্রাণ দ্বারাই অল্প ভক্ষণ করে এইরূপ অবধারণ করা ( অপরের উপকার নিষেধ করা ) যুক্তিযুক্ত হইতে পারে না ; না, ইহা দোষাবহ হয় না ; কারণ, বাক্ প্রভৃতির যে, অন্ন দ্বারা উপকার লাভ, তাহাও এই প্রাণের সাহায্যেই হইয়া থাকে, [ সুতরাং ঐরাপ অবধারণে দোষ হইতেছে না । প্রাণ দ্বারা বাগাদি অন্নকৃত উপকার ইঞ্জিয়ের যে প্রকারে সাধিত হয়, তংপ্রদর্শনার্থ বলিতেছেন—১ । ... " সেই বাক প্রভৃতি দেবগণ,—তাহার নিজ নিজ বিজ্ঞেয় বিষয় প্রকাশ বা প্রস্থ্যোতিত করেন বলিয়া দেব-শব্দ বাচ্য | বৈ’ শব্দটী স্মরণার্থক , সেই দেবগণ মুগ্য প্রাণকে বলিয়াছিলেন— ইহা এই পৰ্য্যন্তই, এতদপেক্ষ আর অধিক নাই’, অর্থাৎ এই যে, সেই বিষয়, তাহা এই পর্যান্তই বটে। ইহা কি ? না, জগতে প্রাণিগণ প্রাণরক্ষার জন্ত, যে অন্ন ভক্ষণ করে, তুমি সেই সমস্ত অন্ন অর্থাৎ অন্নপ্রদ উদগান আপনার জন্য গান করিয়াছ,—উপযুক্ত গানের দ্বারা সেই অন্নকে ] আত্মসাৎ করিয়াছ , কিন্তু আমরাও ত অল্পের অভাবে থাকিতে সমর্থ হইতেছি না , অতএব অতঃপর তোমার নিজের জন্য পরিকল্পিত অন্নে আমাদিগকেও অংশভাগী কর । শ্ৰুতির আভজস্ব স্থলে 'আভাজয়স্ব’ বুঝিতে হইবে }, কেবল ছন্দের অনুরোধে “ণিচ প্রত্যয়ের ব্যবহার করা হয় নাই ৷ ২ ৷ অপরে ( প্রাণ ) বলিলেন, সেই তোমরা যদি অন্নার্থ হইয়া থাক, তাহ হইলে আমাতে প্রবেশ কর, অর্থাৎ সৰ্ব্বতোভাবে আমার মধ্যে প্রবিষ্ট হও । প্রাণ এ কথা বলিলে পর ‘তাঁহাই হউক—এইরূপই করি, এই বলিয় তাহার স্থিরনিশ্চয়ে সেই প্রাণের মধ্যে সৰ্ব্বতোভাবে নিবিষ্ট হইলেন, অর্থাৎ সেই প্রাণকে বেষ্টন করিয়া তাহাতে সন্নিবিষ্ট রছিলেন । তাহারা সেইরূপ সন্নিবিষ্ট হইলে পর, প্রাণ-ভক্ষিত যে অন্নে প্রাণের স্থিতি সাধিত হয়, সেই অল্পই প্রাণের আজ্ঞাক্ৰমে তন্মধ্যে প্রবিষ্ট ইঞ্জিয়গণেরও তৃপ্তিসাধন করিতে লাগিল, কিন্তু স্বতন্ত্রভাবে লাগাদি ইঞ্জিয়ের অন্নসম্বন্ধ নাই । অতএব “অনেনৈব তদন্ততে” এইরূপ অবধারণ করা যুক্তিসম্মতই হইয়াছে। যেহেতু বাগাদি দেবতাগণ প্রাণের অনুমতিক্রমে প্রাণের মধ্যে সম্যকৃরূপে সন্নিবিষ্ট ও প্রাণাশ্ৰিত ; সেই হেতুই সাধারণ লোকে ‘অন্ন’ দ্বারা অর্থাৎ প্রাণের সাহায্যে যে অন্ন ভক্ষণ করিয়া থাকে, সেই প্রাণভক্ষিত অন্ন দ্বারা এই বাগাদি ইন্দ্রিয়গুণ তৃপ্তি লাভ করিয়া