পাতা:বৃহদারণ্যকোপনিষদ্‌.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথমোহধ্যায়ঃ--তৃতীয়ং ব্রাহ্মণম্। ১৭৫ না যে, আমি কবে গ্রাম প্রাপ্ত হইব ; কেন না, অসন্নিহিত বা অপ্রাপ্ত অনাত্মবস্তু বিষয়েই আশংসা (প্রাপ্তির ইচ্ছা ) হইয়া থাকে, কিন্তু নিত্য প্রাপ্ত স্বীয় আত্মাতে ত আর সেরূপ আশংসা হইতে পারে না । অতএব ‘আমি কখনও প্রাণাত্মভাব না পাইতে পারি' এরূপ সম্ভাবনা তাহার হইতেই পারে না । ৬ উক্ত ফলপ্রাপ্তি কাহার হয় ? না, যে ব্যক্তি যথোক্ত মহিমান্বিত এই সাম নামক প্রাণকে জানে,—মামি হইতেছি ইজিরবিষয়ে আসক্তিরূপ আস্থর পাপ দ্বারা অধৰ্ষণীয়—বিশুদ্ধ ; এবং বাক্ প্রভৃতি পাঁচটি ইন্দ্রিয়ও আমার আশ্রয়ে থাকিয়াই অগ্ন্যান্তাত্মভাবাপন্ন এবং স্বাভাবিক বা অপরিশুদ্ধ-জ্ঞানজাত ইঞ্জিয়গ্রাহ বিষয়ে আসক্তিজনিত আমুর পাপবিযুক্ত হয়, অধিকন্তু সৰ্ব্বভূতে মদাশ্রিত অল্পাদ্যের ভোগ্য বস্তুর উপভোগেও সমর্থ হয় । আঙ্গিরসত্ত্ব-নিবন্ধন আমিই সৰ্ব্বভূতের আত্মস্বরূপ,—ঋক্, যজুঃ, সাম ও উদগীৰ্থাত্মক বাক্যেরও আমিই আত্মা ; কারণ, ঐ সমস্তই আমার অধীন এবং আমার দ্বারা নিৰ্ব্বাহিত হয় ; গীতিভাবপ্রাপ্ত সামস্বরূপ আমার বাহ ধন—অলঙ্কার হইতেছে স্বরসৌষ্ঠব, তদপেক্ষাও আস্তুরতর অর্থাৎ সন্নিকৃষ্ট ভূষণ হইতেছে সোবর্ণ-বর্ণসৌষ্ঠব, তাহাও স্বরসৌন্দৰ্য্যই বটে ; গীতিভাবপ্রাপ্ত আমার প্রতিষ্ঠা বা আশ্রয়স্থান হইতেছে-কণ্ঠ-তালু প্রভৃতি স্থান ; ঈদুণগুণসম্পন্ন আমি অমূৰ্ত্ত—নির্দিষ্ট আকৃতিবিজ্ঞান, এবং সৰ্ব্বব্যাপী বলিয়া, পুঞ্জিকাশরীরেও সম্পূর্ণরূপে অবস্থিত আছি। যতকাল আপনাতে প্রাণাত্মভাব অভিব্যক্ত না হয়, ততকাল যে জানে—উপাসনা করে ; [ তাহার এইরূপ ফল गां७ श्ध्न ] ॥ ७१ ॥ २४ ॥ ইতি প্রথমাধ্যায়ে তৃতীয় ব্রাহ্মণের ভাষানুবাদ ৷ ১ ৷৷ ৩ ৷