পাতা:বৃহদারণ্যকোপনিষদ্‌.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃহদারণ্যকোপনিষদৃ । سbسbہ" BBBBBB BBBBBBBBBBBBBB BBBBBB DBBDDDS BBBBBB BBBBS BBBBBBB BBBBBBBDDD DDDDBB BBBBB BBBBB BBBBB D DBBBS বিরোধোহস্তি, ইত্যুপসংহরতি—তন্মাদিতি ॥ ৩৯ ৷ ২ ৷ ভাষানুবাদ —"সোহবিভেং” ইত্যাদি । সেই প্রজাপতি—যিনি প্রথম শরীরী পুরুষাকার বলিয়। বর্ণিত হইয়াছেন, তিনি ভীত হইয়াছিলেন,—বলা হইল যে, তিনিও আমাদেরই মত ভয় পাইয়াছিলেন । যেহেতু পুরুষবিধ—দেছেক্রিয়বিশিষ্ট প্রজাপতি আপনার বিনাশাদিবিষয়ক বিপরীত দর্শনে অর্থাৎ তাদৃশ ভ্রান্তিজ্ঞানের ফলে ভীত হইয়াছিলেন, সেই হেতু, অস্থাপি তৎসমানজাতীয় ( দেহেক্রিয়সম্পন্ন ) ব্যক্তি একাকী থাকিতে ভয় পায় । অপিচ, আমাদের দ্যায় তাহার পক্ষেও যথার্থ আত্মজ্ঞানই ভয়োৎপাদক ভ্রাস্তিজ্ঞানের নিবৃত্তিসাধক ৷ সেই এই প্রজাপতি আলোচনা করিয়াছিলেন ; কি প্রকার ? তাহ বলিতেছেন-যেহেতু আমা হইতে স্বতন্ত্র অর্থাৎ আমার অতিরিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীভূত অন্য কোনও বস্তু নাই ; আমার বিনাশকর তাদৃশ বস্তুর অভাবে আমি কেন ভয় পাইতেছি ? সেই কার: ণেই—যপাযথভাবে আত্মার স্বরূপ উপলব্ধির ফলেই প্রজাপতির সেই ভয় সম্পূর্ণরূপে অপগত হইয়াছিল। প্রজাপতির যে, সেই ভয়, তাহা কেবলই অজ্ঞানমূলক ; সুতরাং আত্মদর্শন উপস্থিত হইলে তাঙ্গ কখনই থাকিতে পারে না ; তাই বলিলেন—‘কস্মাং হি অভেদ্যং’ ?—কি কারণে তিনি ভীত হইবেন ? অভিপ্রায় এই যে, পরমার্থতত্ত্বের নিরূপণ হইলে, কখনই ত ভয়ের সম্ভাবনা থাকে না ; যেহেতু দ্বিতীয় বস্তু হইতেই ভয় হইরা থাকে, অথচ দ্বিতীয় বস্তুমাত্রই অবিদ্যা-সমুথিত ; সুতরাং অপর কোন প্রকার দ্বিতীয় পদার্থ জ্ঞানগোচর না হইয়া কখনই ভয়োৎপাদক হয় না ; কেন না, শ্রেীত মন্ধে আছে যে, “যে লোক নিরস্তুর একত্ব দর্শন করে, তাহার শোকই বা কি, আর মোহই বা কি ?’ ইতি । অতএব তিনি যে, একত্বদর্শনের বলে ভয় নিবারণ করিয়াছিলেন, তাহা যুক্তিযুক্তই বটে। যুক্তিট৷ কি ? যেহেতু দ্বিতীয় হইতেই—অপর বস্তু হইতেই ভয় হইরা থাকে ; একত্বদর্শনের বলে তাহার সেই দ্বৈতদর্শন অপনীত হইয়াছিল ; কাজেই তাঙ্কার আর ভয়ের সম্ভাবনা ছিল না । ১ #: কেহ কেহ এস্থলে আপত্তি উত্থাপন করিয়া বলেন-প্রজাপতির একত্বদর্শন জন্মিল কোথা হইতে ? কে-ই বা তাঙ্গকে সে উপদেশ দিয়াছিল ? যদি বিনা উপদেশেই ঐক্কপ জ্ঞান হইয়া থাকে, তবে, আমাদেরও তাহা হইতে পারে ; আর যদি বল, জন্মান্তরসঞ্চিত সংস্কারই ঐ একদর্শনের মূল কারণ, তাঙ্গ হইলেও