পাতা:বৃহদারণ্যকোপনিষদ্‌.pdf/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭২ বৃহদারণ্যকোপনিষদ | * শ্রুতির ‘তৎ’ পদে অব্যবহিত পরবাক্যে যাহার স্বচনা করা হইবে, সেই বস্তু বুঝিতে হইবে । যাহার ব্রাহ্মণ–ব্রহ্ম বস্তু জানিতে ইচ্ছুক এবং জন্ম, জরা ও মরণ-প্রবাহরূপ চক্রে ভ্রমণজনিত দুঃখময় জলে পরিপূর্ণ অপার সংসারসাগর পারের ভেলাস্বরূপ গুরু লাভ করিয়া সেই সংসারসাগর উত্তীর্ণ হইতে অভিলাষী, সাধ্য-সাধনাত্মক ( কাৰ্য্য-কারণভাবাপন্ন ) ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম-সাধন ও তাহার ফল হইতে বিরক্ত এবং তদ্বিলক্ষণ—নিত্য নিরতিশয় শ্রেয়োলাভে অভিলাষী, তাহার। এই কথা বলিয়া থাকেন। কি বলিয়া থাকেন, তাহা বলিতেছেন—যে ব্রহ্মবিদ্যা দ্বার, —ব্রহ্ম অর্থ—পরমাত্মা, বিদ্যার সাহায্যে র্তাহাকে জানা যায়, তাহার নাম ব্ৰহ্মবিদ্যা। সেই ব্ৰহ্ম-বিদ্যা দ্বারা সমস্ত অর্থাৎ যেরূপ হইলে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে ন, ঠিক সেইরূপ সৰ্ব্বাত্মভাব প্রাপ্ত হইব বলিয়া মনুষ্যগণ মনে করে ; যেমন কৰ্ম্ম হইতে কৰ্ম্মফলপ্রাপ্তি ধ্রুব বলিয়া মনে করে, তেমনি ব্রহ্মবিদ্যা হইতেও সৰ্ব্বাত্মভাব-প্রাপ্তিরূপ ফলকে অবশুম্ভাবী বলিয়াই মনে করিয়া থাকে ; কারণ, বেদপ্রমাণ্যের সস্তাব উভয়ত্রই সমান, অর্থাৎ কৰ্ম্মফল-সম্বন্ধেও বেদই প্রমাণ, এবং ব্রহ্মবিস্তার ফল সম্বন্ধেও বেদই প্রমাণ ; সুতরাং উভয় ফলই এক প্রমাণ-গম্য বলিয়া উভয়েতেই তুল্য বিশ্বাস হওয়া উচিত। মনুষেরই বিশেষভাবে অধিকার জ্ঞাপনের জন্ত, এখানে কেবল মনুষ্কোর উল্লেখ করা হইয়াছে ; অভিপ্রায় এই নে, স্বৰ্গাদি অভু্যদয় এবং মুক্তিরূপ নিঃশ্ৰেয়সসিদ্ধির উপায়সাধনে মনুষ্যগণেরই বিশেনভাবে অধিকার, অষ্ঠের সেরূপ অধিকার নাই । এ বিষয়ে কিঞ্চিৎ বিরুদ্ধভাব লক্ষিত হইতেছে ; এইজন্ত আমরা জিজ্ঞাসা করিতেছি যে, যাহার বিজ্ঞানে মনুষ্যগণ সৰ্ব্বাত্মক হুইব বলিয়া মনে করিয়া থাকে, সেই ব্ৰহ্ম নিজে কি বিষয় জানিয়াছিলেন,—যাহা জানিয়া তিনি সৰ্ব্বাত্মক হইয়াছেন ? শ্রুতি হইতে জানা যায় যে, ব্ৰহ্ম সৰ্ব্বময় ; তিনি যদি অপর কোনও বস্তু ন জানিয়াই সৰ্ব্বাত্মক হইয়া থাকেন, তবে অপরের সম্বন্ধেও সেইরূপই হউক, ব্রহ্মবিস্কার প্রয়োজন কি ? আর তিনিও যদি কিছু জানিবার পরই সৰ্ব্বাজুক হইয়া থাকেন, তাহা হইলে, ব্রহ্মবিজ্ঞানের ফলস্বরূপ সৰ্ব্বাত্মভাব যখন বিজ্ঞান-সাধ্য অর্থাৎ জ্ঞান হইতে সমুৎপন্ন, তখন তাহাও কৰ্ম্মফলেরই তুল্য ; সুতরাং তাছাও অনিত্য হইতে পারে। দ্বিতীয়তঃ জনবস্থা দোষও হয়,—কেন না, সেই সৰ্ব্বাত্মক ব্ৰহ্ম যেরূপ অন্ত বস্তু অবগত হইয়া সৰ্ব্বাত্মক হইয়াছেন, তৎ একমাত্র আস্থার উপাসনা করিতে হইবে, তাহার কারণনিৰ্দেশাৰ এই দশম শ্রুতির অবতারণ