পাতা:বৃহদারণ্যকোপনিষদ্‌.pdf/৩১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথমোহধ্যায়ঃ–চতুৰ্থং ব্রাহ্মণম্। ర్నిరి জল-প্রবাহের স্থায় জ্ঞানের ধারা অবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যমান নাই, পক্ষাস্তরে বিপরীত জ্ঞান এবং তৎকার্য্যও যখন ঐ সঙ্গে দৃষ্ট হইয়া-থাকে, তখন অবগুই স্বীকার করিতে হইবে যে, অস্তিম জ্ঞানেই অবিদ্যানিবৃত্তি হয়, আস্ত জ্ঞানে হয় না ; না, এরূপ ব্যবস্থাও হইতে পারে না ; কারণ, তাহ হইলে প্রথম জ্ঞানের ষ্ঠায় অস্তিম জ্ঞানও অনৈকাস্তিক বা ব্যভিচারী হইয় পড়ে । কেন না, আত্মবিষয়ক প্রথমোৎপন্ন জ্ঞানে যদি অবিদ্যার নিবৃত্তি সাধন করিতে না পারে, তাহা হইলে অন্তিম জ্ঞানে যে, নিবৃত্তি হইবে, তাহার বিশ্বাস কি ? কারণ, উভয়েরই অধিকার তুল্য। আচ্ছ, তাহা হইলে বলিব যে, সম্ভত অর্থাৎ অবিচ্ছিন্নভাবে প্রবর্হিত বিজ্ঞানেই অবিদ্যার নিবৃত্তি হয়, বিচ্ছিন্ন বিজ্ঞানে হয় না ; না, এ কথাও সঙ্গত হয় না ; কারণ, জীবদ্দশায় কখনই অবিচ্ছিন্ন জ্ঞানপ্রবাহ হইতে পারে না ; কারণ, অন্ততঃ জীবন-ধারণের জন্যও তদনুকুল চিস্ত করা আবশ্বক হয় ; সুতরাং তৎকালে প্রবাঙ্গকারে বিদ্যা-প্রত্যয় হইতেই পারে না ; যেহেতু, উহার পরস্পরবিরুদ্ধ। আর যদি বল, জীবনাদির চিন্তা নিবৃত্তি করিয়া মরণকাল পর্য্যন্ত এই বিদ্যাপ্রত্যয়ই প্রবহমাণ হইয় থাকে ; না, তাঙ্গা ও বলিতে পার না ; কারণ, বিদ্যা প্রত্যয়ের সংখ্যাবিশেষ অবধারিত না থাকায়, অর্থাৎ কতবার প্রত্যয়ামুশীলন করিতে হইবে, ইহার নির্দিষ্ট সংখ্যা না থাকার শাস্বার্থেরই অবধারণ হইতে পারে না । অভিপ্রায় এই যে, এতগুলি প্রত্যয়ধারায় অবিদ্যার নিবৃত্তি হইবে, এরূপ কোনও ব্যবস্থা না থাকায় প্রকৃত পক্ষে শাস্ত্রের উদেশ্যই স্থির করা যাইতে পারে না ; ইহা অবগুই দোষাবহ ; সুতরাং কখনই স্বীকার্য্য হইতে পারে না । না, এ কথাও বলা যাইতে পারে না ; কারণ, আদ্য ও অন্তিম প্রত্যয়ের মধ্যে কিছুমাত্র বিশেষত্ব নাই, অর্থাৎ প্রথমোৎপন্ন বিদ্যা-প্রত্যয়-ধারা অথবা মরণকাল পর্য্যন্ত প্রবহমাণ বিদ্যা-প্রত্যয়ধারা অবিদ্যা-নিবৰ্ত্তক হইবে, এরূপ বিশেষ করিয়া বলিবার কোনও প্রয়োজন নাই ; আদি ও অন্ত্য প্রত্যয় সম্বন্ধে পূৰ্ব্বে যে দুইটী দোষ কথিত হইয়াছে, এখানেও সেই দুইটী দোষেরই সম্ভাবনা আছে । ভাল কথ, এইরূপই যদি হয়, তাহা হইলে বলিব, জ্ঞান অবিদ্যার নিবৰ্ত্তকই নয়। না,—সে কথাও বলা যায় না ; কারণ, তিনি সেই বিজ্ঞানের প্রভাবে সৰ্ব্বাত্মক হইয়াছিলেন, “হৃদয়ের অবিদ্যাগ্রন্থি ছিন্ন হইয়া যায়’, ‘সে অবস্থায় আবার মোহই বা কি ?’ ইত্যাদি শ্রীতিই এ বিষয়ে প্রমাণ । ৩১ যদি বল, “তস্মাৎ তৎ সৰ্ব্বমভবৎ" ইত্যাদি প্রতি কেবল অর্থবাদ মাত্র, অর্থাৎ ব্রহ্মবিস্কার প্রশংসাত্মকমাত্র, কিন্তু প্রকৃত সত্যার্থপ্রকাশক নহে ; না, - 8 a - . . . . . "...