পাতা:বৃহদারণ্যকোপনিষদ্‌.pdf/৩৫৪

প্রথমোহধ্যায়ঃ—চতুৰ্থং ব্রাহ্মণমূ। 96.8 আচ্ছা, জিজ্ঞাসা করি, ] কামনার বিবয় যখন অনন্ত, তখন কামনাও নিশ্চয়ই অনন্ত স্বতরাং এষণার (কামের) এতাবৰ (নিদিষ্ট পরিমাণ) অবধারিত হইতেছে কি প্রকারে ? এইরূপ আশঙ্ক। করিয়া তাহার উত্তরে বলিতেছেন—যেহেতু, ইচ্ছা করিলেও ইহার অধিক—ফল ও সাধনাত্মক কামের অধিকতর কোনও কাম লাভ করিতে পারা যায় না ; কেন না, জগতে ঐছিক বা পারলৌকিক যে কোনপ্রকার লন্ধব্য (প্রাপ্য) বিষয় আছে, তাহার কিছুই ফল ও সাধনের অতিরিক্ত নহে ; কাম দ্বারা লন্ধৰ্য ফল ও সাধন ব্যতীত অপর কোন বিষয়ের অস্তিত্বই যখন অসিদ্ধ, তখন “এতাবান বৈ কামঃ" এইরূপ নিৰ্দ্ধারণ করা যুক্তিযুক্তই হইয়াছে । এই কথা বলা হইতেছে যে, অবিদ্বান পুরুষের অধিকারভুক্ত সাধ্য ( ফল ) ও সাধনাত্মক যে দ্বিবিধ এবণ (কামন), তাহার নাম কাম ; ইহার প্রয়োজন ঐহিকও হইতে পারে, পারলৌকিক ও হক্টতে পারে। ইহা হইতে— উক্ত দ্বিবিধ এষণায়ক কাম হইতে ব্যুত্থান কবিতে হইবে অর্থাৎ উক্ত দ্বিবিধ কামনা পরিত্যাগ করিতে হইলে । ৪ যেহেতু, এবংবিধ আয়ুকামী প্রথমোৎপন্ন অবিদ্বান পুরুধ যেরূপ কামনা করিয়াছিলেন, তৎপুৰ্ব্ববৰ্ত্তী পুরুষও সেইরূপই [ করিয়াছিলেন }; কারণ, ইহাই হইতেছে লোকরক্ষার উপায় বা ব্যবস্থা । পুরোক্ত প্রজাপতির সৃষ্টিও ঠিক এইরূপই হইরাছিল ; যথা—তিনি অবিদ্যা বা অজ্ঞান বশতঃ ভীত হইলেন ; তাহার পর কামযুক্ত বা ভোগাভিলাষী হইয়া একাকী অবস্থায় প্রাতিলাভ করিতে না পারিয়া সেই অপ্রীতি অপনয়নের ইচ্ছায় স্ত্রী পাইতে ইচ্ছা করিলেন , সেই স্ত্রীতে উপগত হইলেন ; তাহা হইতেই এই স্বষ্টি হইল ; এ কথা পুৰ্ব্বেই উক্ত হইয়াছে। সেই কারণেই তাহার স্বই এই জগতে এখনও–বর্তমান সময়েও দারপরিগ্রহের পূৰ্ব্বে একাকী থাকিয়া লোকে কামনা করিয়া থাকে-—“আমার জায়া হউক, আমি ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম করিব’, ইহার অর্থ পূৰ্ব্বই উক্ত হইয়াছে । সেই পুরুষ এইরূপ কামনা করিয়া এবং জায়া-প্রভৃতি সমস্ত কাম্য বিষয় সম্পাদন করিতে যাইয়া যতক্ষণ উক্ত জান্নাদির একটা বিষয়ও প্রাপ্ত না হয়, ততক্ষণ সে আপনাকে অঙ্কংসই —‘আমি অসম্পূর্ণ আছি" এইরূপই মুনে করিয়া থাকে। ইহা হইতেই বুঝা যাইতেছে যে, যখন সে ইহার সমস্তগুলি সম্পাদন করিতে পারে, তখনই তাকার পুর্ণত হয় । ৫ 義 যখন কিছুতেই আর কুংমত ( পুৰ্ণতা ) সম্পাদন করিতে সমর্থ হয় না, সেই অবস্থায় তাহার পূর্ণতা-সম্পাদনার্থ বলিতেছেন—অকৃংখ্রস্থাভিমানী সেই পুরুষের