পাতা:বৃহদারণ্যকোপনিষদ্‌.pdf/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬২ বৃহদারণ্যকোপনিষদ। ভাষ্যণনুবাদ —“যৎ সপ্ত অন্নানি মেধয়া” ইত্যাদি। অবিদ্যার কথা বলা হইয়াছে ; তাহাতে বলা হইয়াছে যে, অবিদ্বান পুরুষ ‘আমি অন্ত, এবং আমার উপান্ত অন্ত’ ইত্যাকারে আত্মাতিরিক্ত দেবতার উপাসনা করিয়া থাকে ; বর্ণাশ্রমাভিমানী এবং কৰ্ত্তবাবুদ্ধিতে কৰ্ম্মনিরত ও কামনাবান সেই অবিদ্বান পুরুষ হোমাদি কৰ্ম্ম দ্বারা দেবগণের উপকার সাধন করত সৰ্ব্বভূতের ভোগ্য হয় । সমস্ত ভূতবর্গ এক একটা করিয়া নিজ নিজ কৰ্ম্ম দ্বারা এই লোককে যেমন ভোজ্যরূপে স্মৃষ্টি করিয়াছে, তেমনি তিনি নিজে ও আবার পূৰ্ব্বোক্ত হোমাদি পাৰ্ভুক্ত কৰ্ম্ম দ্বারা সমস্ত ভূত ও সমস্ত জগৎ সৃষ্টি করিয়াছেন । এইরূপে প্রত্যেকেই স্বীয় বিদ্য ও কৰ্ম্মানুসারে সর্বজগতের ভোক্ত ও বটে, ভোজ্যও বটে, এবং কৰ্ত্তাও বটে, কাৰ্য্যও বটে। বিষ্ঠাপ্রকরণে মধুবিস্কার প্রসঙ্গে ( ২য় অধ্যায়ে, ৫ম ব্রাহ্মণে ) আমরা বলিব যে, কার্যামাত্রই কারণের মধুস্বরূপ ; কারণ, তাহা দ্বারা আত্মৈকত্বজ্ঞানের সুবিধা হইতে পারে। তিনি পাদ্ভূক্ত (পঞ্চাত্মক ) হোমাদি কাম্যকৰ্ম্ম ও বিজ্ঞান দ্বারা আপনার ভোজারূপে যে জগং স্বস্ট করিয়াছেন, সেই সমস্ত জগৎ ও কার্য্য-কারণভাবে বিভক্ত হইয়া সপ্ত অল্প নামে অভিহিত হইয়া থাকে ; কারণ, ইছা ও জীবের ভোজ্য বা ভোগার্হ। এইরূপে বিভাগ করাতেই তিনি সেই অন্ন সমূহের পিতা নামে কথিত হন। স্বত্রাকারে সংক্ষেপত: উক্ত অল্পসমূহ ও তাহদের বিনিয়োগ প্রকাশ করিতেছে বলিয়া উক্ত বাকাগুলি শ্লোক অর্থাৎ মন্ত্রপদবাচ্য ॥ ৫৫ ৷৷ ১ ৷৷ যৎ সপ্তান্নানি মেধয়া তপসাজনয়ৎ পিতেতি, মেধয়া হি তপসাজনয়ং পিতা । একমস্ত সাধারণমিতীদমেবাস্য তৎ সাধারণমন্নং যদিদমদ্যতে। স য এতদুপাস্তে ন স পাপুনে ব্যাবর্ততে, মিশ্রং স্থেতৎ । দ্বে দেবানভাজয়দিতি হুতঞ্চ প্রন্থতঞ্চ, তন্মদেবেভ্যো জুহ্বতি চ প্ৰ চ জুহ্বত্যথো আহুর্দশপূর্ণমাসাবিতি । তস্মান্নেষ্টিযাজুক; স্যাৎ, পশুভ্য একং প্রাযচ্ছদিতি তৎ পয়ঃ পয়ে হেবাগ্রে মনুষ্যাশ্চ পশবশ্চোপজীবস্তি, তস্মাৎ কুমারং জাতং তং বৈ বাগ্রে প্রতিলেহয়ন্তি স্তনং বামুধাপয়ন্ত্যথ বৎসং জাতমাহুরতৃণাদ ইতি, তস্মিন সৰ্ব্বং প্রতি