প্রথমোহধ্যায়ঃ—দ্বিতীয়ং ব্রাহ্মণম্। ԵՏ অতীত শ্রুতিতে উপাসনা-বিধায়ক কোন ক্রিয়ার উল্লেখ নাই, অথচ এই প্রকরণটা ক্রিয়াপদ-সাপেক্ষ ; কাজেই এখানে ঐক্ষপই বাক্য-তাৎপৰ্য্য গ্রহণ করা হইতেছে । তিনিই যথার্থ অশ্বমেধ যজ্ঞ জানেন, যিনি মথোক্তপ্রকারে এই তত্ত্ব অবগত আছেন। একথার অর্থ এই যে, যে কোন লোক এই অশ্বমেধকে এবং অগ্নিরূপী অর্ককে এইপ্রকারে অর্থাৎ পরে সংক্ষিপ্তরূপে যে সকল বিশেষণ প্রদর্শন করা হইবে, সেই সকল বিশেষণ-বিশিষ্টরূপে অবগত হন, সেই বিদ্বাৰু পুরুষই প্রকৃতপক্ষে অশ্বমেধ যজ্ঞের রহস্ত জানেন, অপরে জানে না ; অতএব যথোক্তপ্রকারে অশ্বমেধরহস্ত জানা আবশুক । কি প্রকারে জানিতে হইবে ? এই আকাঙ্ক্ষায় প্রথমতঃ অশ্ববিষয়ক উপাসনাই বলিতেছেন,— প্রজাপতি প্রথমত: ‘আমি প্রভূত পরিমাণে যজ্ঞ করিব? এইরূপ কামনা করিয়া, আপনাকেই যন্ত্রীয় পবিত্র পশুরূপে কল্পনা করির, সেই পশুকে অবরুদ্ধ না করিয়াই—উৎসর্গীকৃত সেই পশুকে না বাধিয়াই ; অর্থাৎ প্রগ্রহশূন্ত ( লাগামরহিত ) রাখিয়াই চিন্তা করিয়াছিলেন । সম্পূর্ণ এক বৎসরের পর সেই পশুকে আপনার উদ্দেশে, অর্থাৎ প্রজাপতি-দৈবতকBB BB BB S BB S BBDBBB S BD D BBBBB BB BBB নির্দিষ্ট দেবতাগণের উদ্দেশে প্রেরণ করিয়াছিলেন । সেহেতু স্বয়ং প্রজাপতি ঐরূপ চিন্ত করিয়াছিলেন, সেই হেতুই অন্ত লোক ও এই প্রকার যথোক্ত প্রণালীতে আপনাকে মেধ্য অশ্ব-পশুরূপে কল্পনা করিয়া, আমি প্রোক্ষ্যমাণ ( সংস্কারসম্পন্ন ) সৰ্ব্বদৈবতক ; আমি আমাকে আলস্তন করিলে আত্মদৈবতকই হইব, এবং গ্রামা ও আরণ্য অপরাপর পশুগণকে আমারই অবয়বস্বরূপ অদ্যান্ত নির্দিষ্ট দেবতার উদ্দেশে আলন্তন করিব? এইরূপ চিন্তা করিবে । এইজন্তই যাঞ্জিকগণ এখনও প্রোক্ষিত ( উৎসর্গকৃত পশুকে প্রজাপতির উদ্দেশে আলস্তন করিয়া থাকেন। এই যিনি তাপ দিতেছেন, ইনিই সেই অশ্বমেধ ; অশ্ব পশু দ্বারা যে যজ্ঞ সম্পাদন করিতে হয়, “এষ হ বা অশ্বমেধঃ” কথায় সেই যজ্ঞই সাক্ষাৎ ফলস্বরূপে _নিদিষ্ট হইতেছে । ইনি কে ? না, এই যে স্বৰ্য্যদেব স্বীয় তেজঃপ্রভাবে জগৎ উদ্ভাসিত করিতেছেন । সংবৎসরাত্মক কালই যজ্ঞফলরূপী সেই সূর্য্যের আত্ম—শরীর ; কেন না, স্বৰ্য্য দ্বারাই সংবৎসর সম্পাদিত হইয়া থাকে। এই পৃথিবীগত সেই যজ্ঞসাধন অগ্নিই অর্ক অর্থাৎ অর্করূপে উপাস্য, আর স্বৰ্গাদি লোকত্ৰয়ই যজ্ঞে আহরণীয় সেই অর্কনামক অগ্নির আত্ম—শরীরাবয়ব, ‘পূৰ্ব্বঙ্কি > *
পাতা:বৃহদারণ্যকোপনিষদ্.pdf/৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
