পাতা:বৃহৎকথা - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃহৎকথা । । సి সেনের নিকট সংবাদ দেওয়াতে তিনি চিন্তা করিলেন অভিমানী বৎসেশ্বর এখানে অসিবেন না এবং কস্তাকেও তথায় পাঠান কৰ্ত্তব্য নহে, পাঠাইলে লাঘব আছে, অতএব কোন কৌশলে তাহাকে বন্ধন করিয়া আনাই কৰ্ত্তব্য । ইহা ভাবিয়া চণ্ডমহাসেন মন্ত্রীগণের সহিত মন্ত্রণা করিয়া কাঠময় এক কৃত্রিম যন্ত্ৰহস্তী নিশ্মাণ করত তাহার গর্ভমধ্যে কয়েক জন চার পুরুষ প্রবিষ্ট করিয়া বিন্ধাকাননে প্রেরণ করিলেন। যন্ত্ৰহস্তী বনে প্রবেশ করিলে অদ্যান্ত সৈন্তগণ গুঢ়ভাবে দূরে অবস্থিতি করিয়া রহিল। ওদিকে বৎসরাজের রক্ষিত্ত পুরুষ সকল গজ বন্ধন রস হস্তে ভ্রমণ করিতে করিতে ঐ প্রকাণ্ড হস্তী দর্শন করিয়া তাহার নিকট গিয়া কহিল, মহারাজ ! এক বৃহদাকার গজকে বিন্ধ্যকাননে ভ্রমণ করিতে দেখিয়াছি, তত্ত্বল্য হস্তী আমরা কখন দৃষ্টিগোচর করি নাই । বৎসরাজ চার স্বাক্য শ্রবণ করিয়! হৰ্ষোংফুল্ল-চিত্তে তাহাদিগকে লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা পারিভোষিক দিয়া কহিলেন, সেই গজেন্দ্র যদি তোমরা ধরিতে পার তাহা হইলে চণ্ডমহাসেনের অজেয় নড়াগিরির প্রতিমন্ত্র পাইয় তাহাকে বশীভূত করিয়৷ আনিতে পারিব এবং তিনি স্বয়ংই আমাকে বাসবদত্ত প্রদান করিবেন, ইহ বলিয়া রাজা কথঞ্চিং নিশা যাপন করিলেন এবং পরদিন প্রাতঃকালে মন্ত্রীগণের সহিত মন্ত্রণ না করিয়া গজ তৃষ্ণায় চারগণ সমভিব্যহারে বিন্ধাকাননে গমন ।