পাতা:বৃহৎকথা - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 বৃহৎকথা । আর হাস্য সম্বরণ করিতে পারিলেন না। তাহাড়ে বসকন্ত উহার আশয় বুঝিতে পারিয়া তিনিও বিকৃত মুখে হাস্য করিতে লাগিল্পেন, বাসবদত্তাও এই কৌতুক দর্শনে পরিতুষ্ট হইয়া হাসিতে হাসিতে কহিলেন, অহে বিগ্র ! তুমি যদি কোন কৌতুহল জনক বিষয় জ্ঞাত থাক, তবে আমাদিগের বিনোদার্থ ব্যক্ত কর। বসন্তক কহিল, হে “দেবি ! আমি অপূৰ্ব্ব উপকথা কহিতে পারি, অতএব আপনাদিগের মনোরঞ্জনার্থ একটা উপাখ্যান বর্ণন করি, শ্রবণ করুন । লোহজঞ্জা ও রূপিলিকার উপাখ্যান । শ্ৰীকৃষ্ণের জন্মভূমি মথুরা নামে এক নগর আছে। রূপিলিক নামে এক বাল্পবিলাসিনী তথায় বাস করিত। রূপিলিকার মাতা অতি প্রাচীন এবং তাহার নাম মকরদংষ্ট্র । যে সকল যুব পুরুষ রূপিধিকার গুণে বশীভূত হইয় তাহুর গৃহে আগমন করিত, মকরদংষ্ট্রাকে তাহাদিগের বিষহুল্য বোধ হইত। একদা রূপিণিক দূর হইতে এক সুরূপ সম্পন্ন পুরুষকে দেখিয় দ্বতীকে কহিল, তুমি, সত্ত্বর গিয়া ঐ পুরুষকে অনুরোধ কর, উনি আসিয়া অদ্য আমার গৃহে অবস্থান করুন। তখন চেট গিয়া সেই পুরুষকে তাহ কহাতে তিনি কিঞ্চিৎকাল স্থির ভাবে বিবেচনা করিয়া কহিলেন, আমি অতি দুঃখী ব্রাহ্মণ,আমার নাম লোহজজ, আমার ধন मांडें, ধনী-জন-লভ্যরূপিধিকার গৃহ সন্নিধানে আমি কোথায়