পাতা:বৃহৎকথা - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

? २8 , বৃহৎকথা । রাখিয়াছেন, কিন্তু পশ্চাৎ স্থতা দান করিয়া সম্মানের সহিত মোচন করিবেন। অতএব এই সময়ে কোন রূপে অtমর ইহাকে হরণ করিয়া পলায়ন করিতে পারিলে ইহার প্রতীকার করা হয়, নতুবা লাঘব হইবে, অতএব তদ্বিষয়ে সৎপরামর্শ করা কৰ্ত্তব্য। চণ্ডমহাসেন পূৰ্ব্বে বাসবদত্তাকে এক হস্তিনী দিয়াছিলেন, তাহার নাম ভদ্রবর্তী, আমি শুনিলাম রাজহস্তী নড়গিরি ব্যতীত অণর কোম হস্তী তাহার সমান বেগে গমন করিতে সমর্থ হয় না এবং ভদ্রবতীর সহিত নড়াগিরির এমন প্রণয় যে তাহার। উভয়ে কখনও পরস্পর যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয় না। ভদ্রবতীর হস্তারোহের নাম আষাঢ়ক, আমি তাহাকে ধন দিয়া বশীভূত করিয়াছি। তুমি বাসবদত্তার সহিত সেই হস্তিনী পৃষ্ঠে আরোহণ করতঃ রাত্রিকালে গোপনে পলায়ন করিও, আমি এক্ষণে তোমার সখা পুলিন্দকের গৃহে গিয়া অবস্থান করি, তথায় তোমার সহিত সাক্ষাৎ হইবে । ইহা বলিয়া যৌগন্ধরায়ণ প্রস্থান করিলে বৎসরাজ সেই যমুদায় কথা বাসবদত্তাকে অবগত করিলেন এবং বাসবদত্তাও সম্মত হইয়া অতি উৎসাহ পূৰ্ব্বক আষাঢ়ককে ডাকিয়া হস্তি সজ্জা করিতে আদেশ করিলেন। তখন আষাঢ়ক করিণীকে সুসজ্জিত করিয়া প্রদোষ সময়ে বাসবদত্তার গৃহ দ্বারে আনিয়া উপস্থিত করিল, এমত সময়ে আকাশ মণ্ডলে ঘোরতর মেঘ উদিত . হইয় গর্জন করিতে লাগিল। ভীহ শুনিয়া করিণী ও