পাতা:বৃহৎকথা - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nじ8 বৃহৎকথা । সঙ্গে করিয়া তাহার অন্বেষণার্থ দৈবাৎ সেই দিকে গিয়া বহু দূর হইতে বৃক্ষমূলে সিদ্ধিকরীকে দেখিতে পাইয় মল্লব তদভিমুখে গমন-করিতে লাগিল এবং সিদ্ধিকরীও উহ! জানিতে পারিয়া পশ্চাৎ ভাগ দিয়া সেই বৃক্ষে আরোহণ করত পল্লবাছাদিত হইয় রহিল । বণিক ক্রমে ক্রমে বৃক্ষের নিকটবর্তী হইয়া দেখিল সিদ্ধিকরী তথtয় নাই, কিন্তু যে ডোম প্রাতঃকালে ভিক্ষা করিতে গিয়াছিল, সে উদ্বন্ধনে প্রাণত্যাগ করিয়া বৃক্ষ শাখায় লম্বমান রহিয়াছে। তখন বণিকের এক জন ভূত্য, বোধ হয় সিদ্ধিকরী এই বৃক্ষে উঠিয়াছে বলিয়া লম্ফ দিয়া বৃক্ষে আরোহণ করিল, এবং ক্রমে ক্রমে বৃক্ষের প্রধান শাখার অগ্রভাগে গিয়া সিদ্ধিকরীর নিকটস্থ হইবামাত্র সে পত্রীবরণ হইতে বহির্গত হইয়া, “আহে ভূত্য ! অনেক দিবস অবধি আমি তোমার প্রতি অভিলাষিণী ছিলাম, এবং তোমারইনিমিত্তে এই বণিকের সমস্তধন হরণ করিয়৷ আনিয়াছি, অতএব তুমি কাহারও নিকট প্রকাশ করিও না, কল্য তোমার গৃহে উপস্থিত হইয়। এই সমস্ত ধন তোমাকেই দিব" ইহা বলিতে বলিতে সিদ্ধিকরা ঐ "ভূত্যের অজ্ঞাতসারে তাহার মস্তকে এক প্রকার ঔষধি বন্ধন করিয়া দিল। যেমন ঔষধি বন্ধন করিয়াছে অমনি দেক্ষিপ্ত হইয়া প্ৰলাপ বাক্য কহিতে কহিতে বৃক্ষ হইতে অবরোহণ করিল। বণিক্‌ তদর্শনে বিস্ময়াপন্ন হইয়া ভূত্যকে ভূতগ্রস্তু মনে করিয়া ভয়ে তাহাকে লইয়া