পাতা:বৃহৎকথা - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 বৃহৎকথা । সুখে কালযাপন করিতে লাগিলেন। এই বিবাহ মহোৎসব উপলক্ষে প্রজাবর্গের ভুষ্টি সম্পাদনার্থ রাজ বংসেশ্বর তৎকার্য্যে যৌগন্ধরায়ণ ও রুমম্বানকে নিযুক্ত করিলেন। তখন যৌগন্ধরায়ণ রুমস্থানকে কহিলেন, সখে ! সাধারণ লোকের সন্তোষ জন্মান অতিশয় দুরূহকার্য্য, কিন্তু রাজ এই কঠিন কার্য্যে আমাদিগকে নিযুক্ত করিলেন, অতএব যে ব্যক্তি যাহাঁতে সন্তুষ্ট হয় তাহার তাহাই করিতে হইবে, যেহেতু বালকও অসন্তুষ্ট হইলে দোষ উদ্ভাবন করিতে পারে । তষিয়ে উদাহরণ স্বরূপ বালবিনষ্টকের উপাখ্যান শ্রবণ কর। ৰালবিনষ্টকের উপাখ্যান । ' পূৰ্ব্বে কোন স্থানে রুদ্রশৰ্ম্ম নামে এক ব্রাহ্মণ বাস করিতেন। ঐ ব্রাহ্মণের দুই স্ত্রী ছিল । তাহার মধ্যে জ্যেষ্ঠ একটি পুত্র প্রসব করিয়া পরলোক গমন করে। অপর স্ত্রীর কতক গুলি পুত্র ও কস্ত জন্মে। জ্যেষ্ঠার পরলোক প্রাপ্তির পর রুদ্রশৰ্ম্ম তাহার পুত্রের প্রতিপালনের ভার ঐ অপরা পত্নীর প্রতি অর্পণ করেন। কিন্তু ব্রাহ্মণী আপনার সন্তান দিগকে উত্তমোত্তম খাদ্য ত্রব্য প্রদান করিত এবং সপত্নী সন্তানকে অনাদর করতঃ রূক্ষ ও কদন্ন ভক্ষণ করাইভ । ভাহাতে মাতৃহীন বালক ক্রমে ক্রমে কৃশ ও ধূষর বর্ণ হইয়া উঠিল। ইহা দেখিয়া রুদ্রশৰ্ম্মা পত্নীকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, বোধ হয় তুমি এই মাতৃহীন বালককে উপেক্ষা কর, বিশিষ্টরূপে