পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A08 বৃহৎ বঙ্গ একমাত্র পুত্র ছিলেন। পরম সুন্দরী পদ্মিনী কাজিভরম রাজ্যের রাজকন্যা ছিলেন। প্ৰতাপরুদ্রের পিতা ইহাকে বিবাহ করিতে চাহিয়া রাজার নিকট দূত পঠাইয়াছিলেন। রাজা উত্তরে লিখিয়াছিলেন, “যে সামান্য ঝাড়ুদারের কাজ করে-তাহাব হাতে আমার কন্যা দিতে পারিব না।” বৎসরে একদিন উড়িষ্যার রাজারা সোণার ঝাটা হস্তে পুরীর মন্দির সাফ করেন, ইহা চিরাগত রীতি ছিল, রাজা ইহাই লইয়া ব্যঙ্গ করিয়া পুরুষোত্তমকে ঝাড়ুদার বলিয়াছিলেন। তিনি ক্ৰোধে কাঞ্জিভরম আক্রমণ করেন এবং রাজাকে পরাস্ত করিয়া পদ্মিনীকে পুরীতে লইয়া আসেন এবং সভাসমক্ষে সংকল্প করিয়া বলেন, “এই বন্দী রাজকুমারীকে আমি সত্যসত্যই এক ঝাড়ুদারের হস্তে দিব।” মন্ত্রীরা দুঃখিত হইয়া একটা ষড়যন্ত্র করিলেন । এবারও বৎসরের সেই দিন আসিল-যেদিন রাজা সুবৰ্ণ বঁটা হন্তে পুরীর মন্দির পরিষ্কার করিতে গেলেন। এই সুযোগে প্ৰধান মন্ত্রী বন্দী রাজকুমারীকে লইয়া রাজার নিকট উপস্থিত হইয়া বলিলেন, “মহারাজ, আপনি প্ৰতিজ্ঞা করিয়াছেন, ইহাকে কোন ঝাড়ুদারের সঙ্গে বিবাহ দিবেন, আপনিই সেই ঝাড়ুদার, ইহাকে গ্ৰহণ করুন।” রাজার মন আৰ্দ্ধ হইয়াছিল, তিনি এই অনুরোধ এড়াইতে পারিলেন না, পদ্মিনীকে বিবাহ করিলেন। কাঞ্চী-কাবেরী নামক উড়িয়া-কাব্যে এই কৌতুহলজনক ঘটনা লিখিত আছে। আমাদের কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয় লইয়া একখানি সুন্দর বাঙ্গলা কাব্য লিখিয়াছেন। * প্ৰতাপরুদ্র রাজা পুরুষোত্তম ও রাণী পদ্মিনীর পুত্র। চৈতন্যের তিরোধানের পর প্রতাপরুদ্র যতদিন বাচিয়া ছিলেন, ততদিন শোকে মৃতপ্ৰায় ছিলেন। একদা কবিকর্ণপুরকে (পরমানন্দ সেনকে) তিনি বলিয়াছিলেন, “ঐ দেখ রথযাত্রার সময় উপস্থিত, নীলাদ্রিনাথ রূপের ছটায় ঝলমল করিতেছেন, একদিকে নীল সিন্ধু-জলের অস্ফুট গর্জন, অপর দিকে লক্ষ লক্ষ লোকের আনন্দ-কোলাহলে পুরী যেন নবজীবন পাইয়া জাগিয়া উঠিয়াছে, কিন্তু চৈতন্য বিহনে এই BB BBDDBD DBBBDBBKKDD BBDDBD DBBBBBD DBDS DDD DDBDD DD BDBB DDD আমাকে শুনাও।” এই আদেশেব ফল-সুপ্ৰসিদ্ধ চৈতন্য-চন্দ্ৰোদয় নাটক । চৈতন্য একবার পুরী হইতে পালাইয়াছিলেন। পার্থিব স্নেহ-মমতার সম্পূর্ণ খপ্পরে পড়িলে নিৰ্ম্মল সাৰ্ব্বজনীন প্রেম ও সত্যদৃষ্টির বাধা পড়ে। পুরীতে আসিয়া দেখিলেন, সেখানেও নদীয়ার মত র্তাহার দ্বিতীয় একটা সংসারের সৃষ্টি হইয়াছে।। জগদানন্দ তাহার প্রতি মাতার অধিক যত্ন করেন— এবং তাহার স্নান, ভোজন, শয়ন প্রভৃতি লইয়া অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যস্ত হইয়া পড়েন,-“নানারূপের উপহারেব খাদ্যদ্রব্য আনিয়া তাহাকে খাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি কবেন,-তিনি না খাইলে হয় নিজে উপবাসী থাকেন, না হয় অভিমান কবিয়া তিন দিন চৈতন্যের সঙ্গে কথা বলেন না। একদিন ইনি চৈ ও মৃেত্যুব জন্য একটি তুলার বালিশ আনিয়া উপস্থিত করিয়াছিলেন, তরুণ সন্ন্যাসী আতি আপনিই সেই ঝাড়ুদার। পু” ক্যাগের সঙ্কল্প ।

  • প্ৰতাপঃ ১ স্বর্ণঝড় লইয়া যে জগ’গ মন্দির বৎসরে একদিন সাফ করিতেন, তাহার উল্লেখ YYYSuuDBDDDY EEDS S tD DEE BDBLL BDBLSS