পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ88 বৃহৎ বঙ্গ পরদিন মস্তক মুণ্ডিত কবিয়া গৈরিক পরিহিত কিশোর জীব মাতাকে বলিল, “মা, প্ৰণাম, তোমার স্নেহের দুলালকে চিরদিনের জন্য বিদায় দাও, আমি ব্ৰাহ্মণ, আমার পিতা ও পিতৃব্যদের যে গতি, আমারও তােহাঁই। আমি বিষয়ভোগের জন্য জন্মগ্রহণ করি নাই। মা, আমি চলিলাম, তোমার স্নেহের ছেলেটিকে আর দেখিতে পাইবে না।” জীব ভূমিষ্ঠ হইয়া মাতাকে প্ৰণাম করিল। বজাহতের ন্যায় মাতা জ্ঞানহারা হইয়া রহিলেন । রূপ-সনাতনের পরিবারবর্গ ফতেয়াবাদে বাস করিতেছিলেন, তথা হইতে জীব সন্ন্যাস লইয়া প্রথমতঃ নবদ্বীপে আসিলেন । তিনি শ্ৰীবাসেব বাড়ীতে আসিয়া নিতানন্দের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন। শ্ৰীবাসেব আঙ্গিনা চৈতন্যের পদব্রজে পবিত্র হইয়াছিল। বালক সন্ন্যাসী কাদিতে কাদিতে সেই আঙ্গিনায় গডাইয়া পড়িলেন । নবদ্বীপ হইতে কাশী যাইয়া প্রসিদ্ধ পণ্ডিত মধুসুদন বাচস্পতির নিকট তিনি কয়েক বৎসব উপনিষদেব শিক্ষালাভ করিলেন । বৃন্দাবনে "আসিয়া স্বীয় পিতৃবাদের সঙ্গে মিলিত হইস ভক্তিশাস্ত্ৰ অধ্যয়ন কবিতে লাগিলেন । অচিবে তাহাব পাণ্ডিত্যের খ্যাতি সমস্ত ভাবতবর্ষে ব্যাপ্ত হইল। ৰূপ ও সনাতনের পরে বৈষ্ণব-সমাজে তেমন প্ৰতিষ্ঠা আবে কাহারও হয় নাই । তিনি > ৫ খানি সংস্কৃত পুস্তক রচনা করেন, ইহাই গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধন্মেব প্ৰধান ভিত্তি । এই পুস্তকগুলিব মধ্যে ষট্ৰসন্দৰ্ভই সৰ্ব্বাপেক্ষা প্ৰসিদ্ধ। উত্তরকালে জীব গোস্বামীই বঙ্গাধা বৈষ্ণব-সমাজের একমাত্র কর্ণধার হইযাছিলেন। কোন পণ্ডিত বা সামাজিকের শাস্ত্ৰ-বিসয়ে দ্বিধা উপস্থিত হইলে তাহারা জীব গোস্বামীর নিকটে বৃন্দাবনে পত্র লিখিতেন, তাহাব সিদ্ধান্তই শিবোধ্য হইত। না ভাজি ভক্তমালে শিখিধাছেন, “শ্ৰীৰূপ সনাতন ভক্তি জল শ্ৰীজীব গোসাঁই সাের গম্ভাব। বেলা ভজন সুপাক বসায়ন কবহু না অভিলাষা। বৃন্দাবন দৃঢ়ব্যাস সূৰ্গলাচৰণ অনুরাগী। সন্দেহ গ্ৰন্থচ্ছেদন সমর্থ রসবাসী উপাসক পরম বীর। শ্ৰীৰূপ সনাতন, শ্ৰীজীব গোর্সাই সর গম্ভাব }” গ্রাউজ সাহেব তাহাব মথুরার ইতিহাসে লিখিয়াছেন, “এই সময়ে বৃন্দাবনের সব্বাপেক্ষা লব্ধপ্ৰতিষ্ঠ, বৈষ্ণব-সমাজের নেতা ছিলেন রূপ ও সনাতন । ইহাদেব সহিত তাহাদেব ভ্রাতুষ্পপুত্র জীব গোস্বামীর নাম করাও কৰ্ত্তব্য । মানসিংহ গোবিন্দজীর যে মন্দিব নিৰ্ম্মাণ কবিয়াছিলেন, তাহাতে এই কয়েকটি কথা উৎকীর্ণ হয়-“মহারাজ পৃথ্বীরাজের বংশোদ্ভব মহারাজ শ্ৰীভগবান দাসের পুত্র , মহারাজ মানসিংহকর্তৃক এই মন্দিৰ তাহার গুরু রূপ ও সনাতনের আদেশে সম্রাট আকবরের ৩৪ রােজ্যাঙ্কে নিৰ্ম্মিত হয় । গ্ৰাউজার সাহেব *Cee, “It is the most impressive religious edifice that the Hindu लूगांवन-यात्रावी ननानी দের সৃষ্টি । art has ever produced at, least in Upper India. It is not a little strange that of all architects who have discribed this famous building, not one has noticed its most characteristic feature-the harmonious combination nf dome aid spire which is still noted as the great crux of modern art, though nearly 300 years ago; the difficulty was solved by the Hindus with characteristic gree and ingenuity." Vess Ré veg5: viáTré 48 off