পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্যের তিরোধান ও বৈষ্ণব সমাজ Գ86 স্থাপত্য হিসাবে সৰ্ব্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ । হিন্দুরা যাহা কিছু রচনা করিয়াছেন—এই মন্দির তন্মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা মহিমান্বিত । আশ্চৰ্য্যের বিষয় যত স্থপতিবিশারদ। এই মন্দিবের উল্লেখ করিয়াছেন, তন্মধ্যে কেহই ইহাব একটা অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করেন নাই। গম্বুজ ও চুড়ার অপূৰ্ব্ব সামঞ্জস্য এই মন্দিরে যাহা দৃষ্ট হয-তাহা শুধু সম্প্রতি য়ুবোপের স্থপতি , বৰ্গ কলাকৌশলের সৰ্ব্বাপেক্ষা জটিল প্রশ্ন বলিয়া বুঝিতে পারিয়াছেন, কিন্তু প্ৰায় তিনশত বৎসর পূর্বে হিন্দুৱা তঁহাদের অভ্যস্ত বৈশিষ্ট্য, মনোহারিত্বে ও কৌশল সহকাবে এই সমস্যার উৎকৃষ্ট সমাধান করিয়াছিলেন | | গ্ৰাউজ এই সকল মন্দিরের বিস্তারিত বিবরণ দিয়াছেন । এই মন্দির স্থপতিবিদ্যা বিশারদ কল্যাণ দাস, স্থপতি গোবিন্দ দাস এবং মাণিকচাদ চোপরের সাহায্যে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল । বৃন্দাবনে রূপ, সনাতন ও জীব যে ভাবে জীবন যাপন করিতেন, একটি ঐতিহাসিক আখ্যায়িকাদ্বারা তাহা বিশদভাবে বুঝাইতে চেষ্টা করিব। এককালে কামরূপের রাজধানী এগারসিন্দুবের নিকটবৰ্ত্তী ভাটাদিয়া গ্ৰামে লক্ষ্মীনারায়ণ ভট্টাচায্য নামক এক বারেন্দ্ৰ ব্ৰাহ্মণ বাস করিতেন । তাহার সাধবী পত্নীর নাম কমলা দেবী। ইহাদের একমাত্র, সুদৰ্শন পুত্র ছিলেন রূপানাপাধণ। অল্পবয়সে তিনি লেখাপড়ায় অমনোযোগী ও দুবৃত্ত ছিলেন। সংশোধনের সমস্ত চেষ্টা বিফল হওয়াতে একদা বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ পত্নীকে আদেশ করিলেন, বালককে অঙ্গার খাইতে দিতে । সাধবী কমলা দেবী স্বামীর আদেশ অমান্য করিতে না পাবিয়া ভাতের থালার এক পার্থে একটুকরা কয়লা ধুইয়া তাহ পুত্রকে পরিবেষণা করিলেন । কিন্তু রূপনারায়ণের দৃষ্টি সেই কয়লাটুকুর দিকেই সব্বাগ্ৰে পড়িল । মাতাক নিকটে প্রশ্লেব উপর প্রশ্ন করিয়া কাবণ জানিতে পারিলেন এবং তদণ্ডে আগ্নের থাল" ৷ ঐলিয়া ফেলিয়া বাড়ী হইতে বাহির হইয়া গেলেন। প্রথম পঞ্চবটী নামক এক গ্রামের টােলে আসিয়া তিনি সংস্কৃত শিক্ষা করেন, তাবপর নবদ্বীপে আসিয়া তথাকিব টোলে নানাশাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করেন । তথা হইতে অনুমান ১৫২৮ খৃষ্টাব্দে তিনি পুরীতে আসিয়া চৈতন্যদেবের সঙ্গে দেখা করেন, কিন্তু উদ্ধত যুবক ভক্তির সেই প্ৰবল বন্যাব পাশ কাটাইয়া কাশীতে আসিয়া সংস্কৃত শাস্ত্র আরও বিশেষ করিয়া অধ্যয়ন করেন। সর্বশেষে রূপনাবায়ণ বোম্বাইয়ের পুণা নগরীতে যাইয়া পাঠসমাপ্তিপূর্বক “সরস্বতী” উপাধি লাভ কবেন । তেজস্ব উদ্ধত যুবক এখন পণ্ডিত-শিরোমণি হইলেও তাহাব স্বভাবের কোন পরিবর্তনই চম নাই । তিনি অ’ার্যাবৰ্ত্তে আসিয়া হুঙ্কার দিয়া বলিলেন, “আমি দিগ্বিজয়ী, যদি কোন পণ্ডিতের গৌবখ থাকে, তবে সেই গৌরব পরীক্ষা করিবার কষ্টিপাথর আমি। আমার সঙ্গে বিচারে প্রবৃত্ত হউন।” বহু পণ্ডিতকে ঘালি করিয়া এক বোঝা জয়পত্র সঙ্গে লইয়া তিনি বৃন্দাবনের দিকে ছুটলেন, কারণ তিনি শুনিয়াছিলেন, রূপ ও সনাতনের মত পণ্ডিত তখন ভারতবর্ষে কেহ ছিল না । দৈন্যের অবতার ভ্রাতৃদ্বয় রূপনারায়ণের গর্বিত আক্রমণের উত্তরে বলিলেন, “ভাই, তুমি ভুল শুনিয়াছ, লোকে আমাদের সামান্য গুণ বাড়াইয়া তোমাকে S8 预外可门吋邪41