পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃহৎ বঙ্গ سی۹8b স্বীকার করিলেন । তৎকালে যাতায়াত সহজ ছিল না। কয়েক মাস পরে শ্ৰীনিবাস ভাগবতের পুথি লইয়া ফিরিয়া আসিয়া শুনিলেন, গদাধব স্বৰ্গাবোহণ করিয়াছেন । তখন ফিরিয়া বাঙ্গলায় আসিয়া নিত্যানন্দের পত্নী শ্ৰীজাহ্নবী গোস্বামিনীর সঙ্গে দেখা করেন এবং র্তাহাব আদেশে বৃন্দাবনে বাওনা হন, উদ্দেশ্য ৰূপ-সনাতনেব নিকট ভক্তিশাস্ত্ৰপাঠ। যাজিগ্ৰাম হইতে পাচদিনে রাজমহল আসিয়া তথা হইতে গৌড় দ্বাব হইয়া পাটনায় আসিলেন । কাশীতে যাইযা চৈতন্তেব্য লীলাক্ষেত্রগুলি, বিশেষতঃ চন্দ্ৰশেখৰেব বাড়ীৰ তুলসীতলা, যেখানে মুসলমান দরবেশ বেশী হরিদাস মহাপ্ৰভূব সঙ্গে দেখা কবিয়ছিলেন, সেই সকল দেখি ধা BDBDDBB DBBB sSKK SD q SkaBBB DBDS BBDBD JKBD S S BuS0TS0LSB LBBB KDBBD BBBD কবিতেন, তাহার জীবনের কথা বলিতে বলিতে গদগদ কণ্ঠ হইয়া আব্ব কথা বলিতে পারিতেন না,-প্ৰসঙ্গেব পবিসমাপ্তি হইত। চোখেল জলে । যে এই সুদৰ্শন বালককে দেখিত সেই ইহাকে প্ৰাণের দুলাল ও অন্তরঙ্গ ভাবিয়া আলিঙ্গন করিতে চাহিত। তােহাপ জিতব গ্রে ছিলেন। সরস্বতী কৰুণ বসেব ভাণ্ডাব লই মা ; বৃন্দাবনের পথে শুনিলেন, রূপ ও সন | তন উভথেষ্ট ’ষ্ঠােমা সমযের ব্যবধানের মধ্যে প্ৰাণত্যাগ কবিধাছেন ; বৃন্দাবন, তাহাদেব শোকে অন্ধকাৰ । নিরাশ বালক বহু পরিতাপ কবিতে লাগিলেন, কিন্তু জ’ব সে স্বামী হিচাব ভক্তি ও প্ৰতিভাদর্শনে ইহাকে আশ্ৰয দি ঘা ভক্তিশাস্ত্ৰ সম্যাগৰূপে শিখাইতে লাগিলেন । এই সময়ে অপর দুই জন প্ৰসিদ্ধ যুবকের সঙ্গে ইহাব বন্ধ ন্ধ হইলাছিল। দ্বিতীয় ব্যক্তি রাজসাহী জেলার খেতুরী নামক নগৰীব বাজ। কৃষ্ণানন্দেৰ একমাত্ৰ পুত্ৰ নৱোত্তম দত্ত। খেতুরা বেযালিয়া হইতে ১২ মাইল উত্তর-পশ্চিমে এবং পদ্মার তাবস্তু প্ৰেমতলী গ্রামের এক মাইল উত্তর-পূৰ্ব্বে অবস্থিত। কৃষ্ণানন্দেব বহুদিন কোন সন্তান জন্মে নাই। নরোত্তম সেই রাজবাডীব চোখের মণিস্বরূপ ছিলেন। শ্ৰীনিবাসের ন্যায় নবোত্তমও অতি প্ৰিয়দৰ্শন। শৈশব হইতেই তাহাকেও চৈতন্যপ্ৰেম পাইযা বসিয়াছিল। একদিন পদ্মবি তীবে বালক সেই সমুদ্রতুল্য অসীম জলরাশি দেখিলেছিলেন, স্থঠাৎ ভেঁাহাব মনে হইল, তিনি দেখিলেন এক গৌরাঙ্গ পুরুষ উদ্ধালোক হইতে র্তাহাকে ডাকিয়া বলিতেছেন, “নবোত্তম, তুমি তো বিষয়ভোগের জন্য জন্মগ্রহণ করা নাই—“তুমি যে আমার। আমাব কাছে এস।” সেই পরম অন্তরঙ্গের স্বরা যেন তিনি সুস্পষ্ট শুনিতে পাইলেন । তখনই তিনি অজ্ঞান হইয়া নদীতীরে পড়িয়া গেলেন। রাজবাডী হইতে বহু সন্ধানে তাহার খোজ মিলিল। চিকিৎসকেরা শিবাদিঘুতের ব্যবস্থা করিলেন, কিন্তু নরোত্তম বলিলেন, “যদি আমার জন্য শিব হত্যা করা হয় তবে আমি না খাইয়া প্ৰাণত্যাগ করিব।” কিন্তু রাজা দেখিলেন—যেমন দেখিযাছিলেন কপিলাবস্তুর শুদ্ধোদন,- যেমন দেখিয়াছিলেন সপ্তগ্রামের গোবৰ্দ্ধন দাস-ভরা যে ডুবি হয়। চৈতন্যের নাম করিতে সদ্যোবিকশিত সরসিজের ন্যায় বালকের শ্ৰীমুখ অশ্রুতে ভাসিয়া যায়। গৌড়েশ্বর সম্রাট কৃষ্ণানন্দ দত্তের অন্তরঙ্গ ছিলেন। কৃষ্ণানন্দ তাহার ইঙ্গাবাদার ছিলেন। তিনি রাজার বিপদ শুনিয়া বলিয়া পাঠাইলেন, “নরোত্তমকে আমার নিকট পাঠাইয়া দাও, আমি তাহার রোগ সারাইয়া দিব।” বহু অশ্বারোহী সৈন্য-পরিবেষ্টিত করিয়া ষোড়শবর্ষবয়স্ক