পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাসিরুদিন ও পরবত্তী পাঠান-রাজগণ \9RGł প্রীতি আকর্ষণ করিতে পারেন নাই । গোলাম হোসেন লিখিয়াছেন, তিনি মুসলমানদিগের প্ৰতি অকথিত অত্যাচার করিয়াছিলেন । কথিত আছে সেখ বদর উল ইসলাম রাজাকে BDBDDD D DBLD DB DDBD SDL BBBD DBBDBDB BBD DBBBDD DBDDBD বিধক্ষ্মী বলিয়া ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল, এজন্য তিনি তঁহাদের মুতু্যুদণ্ড দিয়াছিলেন। এইগুলি বিশেষ কোন অত্যাচার বলিয়া মনে হয় না । যদি তিনি সাহাব-উদ্দিন বয়াজিদ উপাধি গ্ৰহণ করিয়া থাকেন, তবে তঁাহার শবের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া লইয়া কেন যে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে কলহ হুইয়াছিল, তাহা স্পষ্টই বুঝা যায়। এদিকে যাদু যখন মুসলমানধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন, তখন রাজা গণেশ সুবৰ্ণধেনু ব্ৰত করাইয় তাহাব প্ৰায়শ্চিত্তের ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। প্ৰায় চারিশত বৎসরের দীর্ঘরজনীর পরে হঠাৎ একটু উষাৰ আলোর মত হিন্দুগগনে গণেশের উদয় । সে বংশে তিনি জন্মিয়াছিলেন, সেই ভাদুড়ী বংশ কি তাহাকে কখনও ভুলিতে পারে ? তাহারা এখন নিম্প্রভ হইয়া গিয়াছেন, কিন্তু গণেশের কীৰ্ত্তিকথা তাহাদের কুল-কারিকায় এরূপ বিস্তৃতভাবে লিখিয়া রাখিযাছেন যে, বাহিরেব লোকেরাও তাহা ভূলিতে পরিবে না । সান্ন্যাল মহাশয়ের সামাজিক ইতিহাসেব এই গণেশের অধ্যায়টি পাঠ করুন, তাহা এত পুঙ্খানুপুঙ্খ ও এত বিস্তুত যে এই সকল কথা যে মূলতঃ সত্যমূলক তৎসম্বন্ধে কোন সন্দেহ নাই ! যদি দিনাজপুরের সমৃদ্ধ রাজবংশে তাহার জন্ম হইত, তবে তাহার ইতিহাসসম্বন্ধে সেই পরিবাবে সোণায় গিলটি স্বীকার চরিতকথা না থাকিলেও শত শত প্ৰবাদ থাকিত । সেরূপ একটি প্রবাদেরও অস্তিত্ব আমরা জানি না। তবে যেরূপ দিনকাল পড়িয়াছে তাহাতে ঐ রূপ প্ৰবাদসংবলিত পুস্তক শচির-ভবিষ্যতে আবিষ্কার একটা বিস্ময়ের বিষয় হইবে না। গণেশ নারায়ণের স্ত্রী মহারাজ্ঞী ত্রিপুরা দেবী এবং যদুয় স্ত্রী নবকিশোবীর কাহিনী করুণ রসের উৎস, সেই বিয়োগান্ত দৃশ্যে বা উপর ভাদুড়ী বংশের চোখের জল এখনও শুকায় নাই। . ইহা বাবেীন্দ্র-ব্ৰাহ্মণকুলে সুবিদিত, গ্রুর সহিত নবকিশোরীর এবং নবকিশোরীর সঙ্গে আসমানতারার চিঠিপত্রগুলি সান্ন্যাল মহাশয় উদ্ধৃত করিয়াছেন । সেই চিঠিগুলি সেকালের রহস্যের মোড়কে আঁটা তপ্ত অশ্রু । কেহ কেহ বলিতে পারেন, এত দিনেব চিঠিপত্ৰ এগুলি উপকথার মত শোনায় । কিন্তু এই ভাবে চিঠিপত্র রক্ষা করিবার প্রথা ও ধাব। আমরা বাঙ্গলার ইতিহাসে আরও কনেকবার পাইয়াছি । রাজীবলোচনের কৃষ্ণচন্দ্ৰচরিত উক্ত রাজাব মৃত্যুর প্রায় অৰ্দ্ধশতাব্দী পরে লিখিত। সকলেই জানেন ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের ইংরেজ অধ্যক্ষ ঐতিহাসিক ও ভাষাবিৎ পণ্ডিত কেরি সাহেবের অনুমোদনে উহ লিখিত ও প্ৰকাশিত হইয়াছিল। অনেকে বলিয়া থাকেন। ঐ পুস্তক ইংরেজদের অনুপ্রেরণায় বিরচিত হইয়াছিল। এই পুস্তকে রাজবল্লাভের পুত্ৰ কৃষ্ণদাসকে লইয়া সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে জন কোম্পানির কতকগুলি চিঠিপত্র দেওয়া আছে- তাহাও এই ধরণের। ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে জীবগোস্বামীর সঙ্গে কবি গোবিন্দদাসের সংস্কৃত চিঠিপত্রগুলি নরহরিবিরচিত ভক্তি রত্নাকরে উদ্ধত হইয়াছে। এই ভক্তি-রত্নাকর বৈষ্ণবদিগের একখানি প্ৰসিদ্ধ গ্ৰন্থ এবং বৃহৎ বঙ্গ/৪৫ नादिकांद्वी ७ ग्रंभांम NSK