পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ye বৃহৎ বঙ্গ পাশ্বদগণ তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিয়াছিলেন। শৈশবের পর চৈতন্য মেয়েদের সম্বন্ধে অতিশয় সতর্কতা অবলম্বন করিয়াছিলেন, “সবে পরস্ত্রী মাত্র নহে উপহাস, স্ত্রী দেখি প্ৰভু হন DEBuuL S S DBDBBDDBDS DBDBDBDBD BBDBBBBD LDDDD DBBDDBBD DBD DS DB বলিয়াছিলেন, “প্ৰেম প্ৰেম করে লোকে প্ৰেম জানে কেবা, প্ৰেম করা কি হয় রমণীর সেবা ? অভেদ পুরুষ নাবী যখন জানিবে। তখন প্রেমের তত্ত্ব উদিত হইবে।” সুতরাং এই সহজিয়া-ধৰ্ম্ম চৈতন্যের ধৰ্ম্ম নহে। চৈতন্য মন্দিরে মন্দিরে বিগ্ৰহ দৰ্শন করিয়া বেড়াইতেন। সহজিয়াদের মধ্যে একদল বাউল বিগ্রহপূজা মানে না, কৃষ্ণেব রূপ অগ্ৰাহ করে। একখানি সহজিয়া-পুস্তকে কৃষ্ণবিগ্রহপূজা, কৃষ্ণের বর্ণ এবং রূপ,—এমন কি বৈষ্ণব-শাস্ত্রোক্ত সমস্ত মূল সুত্রগুলি সুস্পষ্টভাবে অগ্ৰাহ করা হইয়াছে। ( বঙ্গ-সাহিত্যপরিচয়, প্ৰথম ভাগ, ভূমিকা । ) কৃষ্ণের রূপ কল্পনা করা পাপ । এমন কি ঈশ্বরে বিশ্বাসও ইহাদের মতে নিষিদ্ধ ছিল! সুতরাং নানা সম্প্রদায়ের বৌদ্ধগণ যে সহজিয়া নাম গ্ৰহণপূর্বক বীরচন্দ্রের কৃপায় বৈষ্ণবসমাজে প্ৰবেশ পাইয়া বৌদ্ধ-চিন্তাধারার সঙ্গে হিন্দু তন্ত্র ও ভক্তিশাস্ত্রের কতকটা যোগস্থাপনপূর্বক “জয় চৈতন্য, নিত্যানন্দ” দোহাই দিয়া বৈষ্ণব-সমাজের অন্তভুক্ত হইয়াছিল, তাহার কোনই সন্দেহ নাই। সহজিয়াদের নৈশমিলন যে একাভিপ্লায়ী দলের মিলনের ধারা চালাইয়া রাখিয়াছে-তৎসম্বন্ধে পুর্বেই আলোচনা করিয়াছি (৩২১ পৃঃ), দুই একখানি পুস্তকে বৌদ্ধমতের প্রকাশ্যভাবে দোহাই আছে। “লোকশাস্ত্র করে যারে আনক বারণ । তাহাতে পরম রতি মন্মথের হয়। মহানুনি নিজ শাস্ত্রে এই মত কয়।” ( উজ্জলচন্দ্ৰিক দ্রষ্টব্য, মণীন্দ্রনাথ বসু-কৃত পোষ্ট-চৈতন্য বৈষ্ণব-সাহিত্য দেখুন)। এই ‘মহামুনি” বুদ্ধ ছাড়া আর কে ? চট্টগ্রামে এখনও ‘মহামুনির’’ মেলা হয়। বাঙ্গালীর মত বর্তমান জগতে আর একটি জাতি আছে কিনা জানি না, র্যাহারা কোন বিষয়েই চূড়ান্ত না করিয়া ছাড়েন না। যাহারা ক্ষুদ্র সন্তুষ্ট নহেন, বৈষয়িকের গণ্ডী, লোকাচার, ধৰ্ম্মের অনুশাসন, পারিবারিক বন্ধন যাহারা নিমেষের মধ্যে ছিন্ন করিয়া ভুমার উদ্দেশ্যে ছুটিয়া যান। দানের আতিশয্য দেখাইবার জন্য দাতাকর্ণের কল্পনা । অতিথি গৃহে আসিয়াছেন র্তাহার একমাত্ৰ পুত্ৰকে কাটিয়া সেই মাংস দিয়া অতিথির সৎকার করিতে হইবে । পিতা ও মাতা রাজকুমারকে করাত দিয়া কাটিবেন—অতিথির এই অস্তৃত আবদার। পুত্ৰকে কাটিবার সময়ে মাতার এক ফোটা জল গণ্ড বাহিয়া পড়িলে আতিথ্য নষ্ট হইবে, মাতা স্বয়ং পুত্রের ংস রন্ধন করিয়া খাওয়াইবেন । জাতিক-গ্রন্থে মাঝে মাঝে এইরূপ উপাখ্যান আছে । কিন্তু অষ্টাদশ শতাব্দীতেও বাঙ্গলার শত শত লোক বসিয়া এই দানের কথা লিখিয়াছে ও সহস্ৰ সহস্ৰ লোক ইহা শুনিয়াছে। কেহ বলে নাই—এই গল্পে বড় বেশী রকমের বাড়াবাড়ি হইয়াছে, কেহ বলে নাই-অতিথির এই আবদার দুঃসহ। বঙ্গবাসীর চক্ষু তখন এই গল্পের সাংসারিক দিকটার উপর পড়ে নাই। তাহারা এই গল্পে ভুমার আনন্দ লাভ করিয়াছে, দানের অতুলনীয় মাহন্ত্র্যে তাহদের মন ভরিয়া গিয়াছে। এই দানের আতিশয্য তাহদের