পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ከሦ98 বৃহৎ বঙ্গ ভাগ মনুর র্থ পাইলেন ; ধনরত্বে বোঝাই দুই নৌকা জঙ্গলবাড়ীতে প্রেরিত হইল। ইহার পর সাহ সুজা রাজমহলে এবং মসুর ধা, জঙ্গলবাড়ীতে চলিয়া গেলেন। গীতিকারক লিখিয়াছেন, “এইবার সুজা বাদশাহের জীবনের এক নুতন অধ্যায় দুঃখের মধ্য দিয়া আরম্ভ হইল” ; ইতিহাস-লেখকেরা তাহা সকলেই জানেন । ত্রিপুরার রাজমালায় পাওয়া যায়, এই সময়ে ছত্র মাণিক্যের দ্বারা বিতাড়িত হইয়া তাহার বৈমাত্রেয় ভ্ৰাতা মহারাজ গোবিন্দ মাণিক্য আরাকান-রাজের আতি ৮্য গ্ৰহণ করেন। আরাকান রাজ সুধৰ্ম্ম এবং গোবিন্দ মাণিক্য দুই সিংহাসনে উপবিষ্ট ছিলেন, এমন সময়ে সুজা উপস্থিত হইলেন। তঁহাকে দেখিয়া গোবিন্দ মাণিক্য সিংহাসন ছাড়িয়া তাহাকে সেই সিংহাসনে বসাইলেন। রাজা সুধৰ্ম্মা গোপনে তঁাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি এই বিদেশীকে এতটা সম্মান দেখাইলেন কেন ? উত্তরে গোবিন্দ মাণিক্য বলিলেন, “আমার ও আপনার মত ইহার অনেক সামন্ত রাজা আছে ।” পথে গোবিন্দ মাণিক্যাকে সুজা বলিলেন-“আপনি এই দেশী রাজার সভায় আমাকে বিশেষ সম্মানিত করিয়াছেন। আমার এখন আর কি আছে, যাহা এই বন্ধুত্বের প্রতিদানস্বরূপ দিতে পারি?” এই বলিয়া তাহার কোষ হইতে বহুমূল্য হীরকখচিত একটি ছুরিকা ও একটি মূল্যবান হীরকাঙ্গুরীয় তাহাকে বন্ধুত্বের চিহ্নস্বরূপ প্ৰদান করিলেন। গোবিন্দ মাণিক্য ত্রিপুরার রাজ্য পুনর্বার লাভ করিয়া কুমিল্লাতে সেই অঙ্গুরীয়টির বিক্রয়লন্ধ টাকাতে সুজার নামে এক মসজিদ স্থাপন করিয়া তাহার উপস্বত্ব ঐ মসজিদে প্ৰদান করেন। কুমিল্লায় এখনও সেই মসজিদ বিদ্যমান এবং সুজানগরের উপস্বত্ব এখনও মসজিদের প্রয়োজনে ব্যয়িত হইয়া থাকে। এই পল্লীগীতিকার একটিতে সুজা বাদশাহের সহিত আরাকান-রাজের ( সুধৰ্ম্মার যে সংঘর্ষের বিবরণ দেওয়া আছে-তােহ ষ্টুয়ার্টপ্রদত্ত বিবরণের সহিত রেখায় রেখায় মিলিয়া যায় না। পল্লীগাথায় দৃষ্ট হয়-সুঙ্গা আরাকান-রাজ সুধৰ্ম্মার এক কন্যাকে বিবাহ কবেন। সুজা আরাকান রাজ্য দখল করিবার উদ্দেশ্যে রাজকন্যাকে পিত্ৰালয়ে পাঠাইবার অছিলায় ৪০খানি পান্ধী রাজবাড়ীর অন্তঃপুরে পাঠাইয়া দেন। এই পান্ধীগুলির প্রত্যেকখানিতে দুইজন করিয়া সশস্ত্ৰ-যোদ্ধা ছিল। রাজাকে অন্তঃপুরে নিহত করা ইহাদের অভিপ্ৰায় ছিল। ছয় দেউড়ী পার হইয়া যখন পান্ধীগুলি সপ্তম দেউড়ীতে পৌঁছিল, তখন তথাকার প্রধান স্বাররক্ষকের মনে সন্দেহ হইল, এত পান্ধী অন্তঃপুরের ভিতর যায় কেন ? ফলে সন্ধান আরম্ভ হওয়াতে যোদ্ধৃবর্গ বাহির হইল। তাহাদের সঙ্গে দ্বাররক্ষক ও রাজার সৈন্যের ছোটখাট যুদ্ধ হইল। সুজার লোকেরা নিহত হইল এবং সুজা স্বয়ং ধূত হইয়া সমুদ্রগর্ভে নিহত হইলেন। এই বিবরণটি বিশ্বাসযোগ্য নহে। সুজা বিপদে পড়িয়া যাহার আতিথ্য লাভ করিয়া প্ৰাণ পাইয়াছিলেন, তাহার বিরুদ্ধে যে হীন ষড়যন্ত্র করবেন। এরূপ মনে হয় না। বয়ং ইয়ার্টের উক্তির সহিত সুজাতনয়া পরীবানুর যে সকল বারমাসী প্রচলিত আছে—তাহার BYBDS D DDD S BDDDBBD DBDD BDD BDB BB BDB D iDBDBLB