পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रांड जौउद्धांभ ब्रोश b'80 হইতে শিখ, নেপাল হইতে গুর্থ আমদানী করেন নাই। বাঙ্গালী রাজা বাঙ্গলার ভাইদের লইয়া দেশের অনাচার-নিবারণের জন্য লড়াই করিয়াছিলেন। তিনি হিন্দু-মুসলমানে ভেদ দেখেন নাই। এসম্বন্ধে পল্লীকবি সেই সময়ে এই গানটি বাধিয়াছিলেন—“শুন সবে ভক্তিভরে করি নিবেদন। দেশ গায়েতে যাহা হইল তার বিবরণ। রাজাদেশে হিন্দু বলে মুসলমানে ভাই। বাজে লড়াই কাটাকাটির নাহিক বালাই। হিন্দু বাড়ীর পিঠে কাসন ( কাসিন্দী) মুসলমানে খায়। মুসলমানের নাস ( রস ) পাটালী হিন্দুর বাড়ী যায়৷ রাজা বলে আল্লা হরি নহে দুইজন । ভজন পূজন। যেমন ইচ্ছা করুক সে তেমন ৷ মিলে মিশে থাকা সুখে, তাতে বাড়ে বল। ভয়েতে পলায় মগ ফিরিঙ্গীর দল ৷ চুলে ধরে নারী লয়ে চড়তে নারে নায়। সীতারামের নাম শুনিয়া পলাইয়া যায়৷” ( যদুবাবুর-সীতারাম ১১২ পৃ: )। সীতারাম হিন্দুরাজার আদর্শ লইয়া যে সুখ-শান্তির সাম্রাজ্যোব পত্তন করিয়াছিলেন তাহা এই দেশে টিকিল না। এই ভ্ৰাতৃবিবোধখিন্ন, স্বার্থাঙ্ক, পরশ্ৰীকান্তর-ঐক্যহীন উষর মরুভূমিতে স্বর্গের কল্পতরু'র চারা বাড়িবে কিরূপে ? সীতারাম ক্ৰমশঃ তাহার রাজ্য বিস্তার করিয়াছিলেন, সত্ৰাজিতের মৃত্যুর পর ভুষণা পরগনার অনেকাংশ অবশেষে কালীনারায়ণ নামক এক ব্যক্তির হস্তগত হয়। ইহাব পুত্ৰ কৃষ্ণপ্ৰসাদেব মৃত্যু হইলে সেই জমিদারীর শিশু মালিকগণেব পক্ষে সীতারাম অভিভাবক হইয়া রূপাপাত, লোকভানী, রাকনপুর প্রভৃতি পরগনা শাসন করেন। মামুদসাহী পরগনার ভূস্বামী রামদেবের জমিদারীর পূর্বাংশ সেনাপতি মেনা হাতী বলপূর্বক দখল করেন। উত্তরে মাগুরার নিকটবৰ্ত্তী নান্দুয়ালীতে শচীপতি মজুমদার নামক এক বৈদ্য জমিদার ছিলেন, সীতারাম তীহাকে স্বপক্ষে আনখন করেন। “উত্তরে পদ্মা পৰ্য্যন্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জমিদারিগুলি সীতারামের হস্তে আসে” ( সতীশ বাবু-৫৫৭ পৃঃ } সাঁভৈরেব উত্তয়ে নাসিব ও নুসরৎ নামক দুই পাঠান বিদ্রোহী হইয়াছিল। সীতারাম নবাব কর্তৃক ইহাদিগকে দমন করিবার ভার প্রাপ্ত হন। এই সুযোগে তিনি অনেকগুলি নূতন দুর্গ ও মহম্মদপুরে কামান প্ৰস্তুত কবিবার ব্যবস্থা করেন। পাঠানেরা সহজেই পরাভূত হয়, এবং নবাব সরকারে তঁহার প্রতিপত্তি খুব বাড়িয়া যায়। চাঁচড়ার রাজা মনােহর বায়, মীজ্জানগরের ফৌজদার নূরউল্লা খার সাহায্যে সীতারামেব বাজধানী আক্রমণের চেষ্টা পাইয়াছিলেন, কিন্তু পরাভূত হইয়া পলায়ন করেন। তখন সীতারাম তাহার দুৰ্গতির একশেষ করিয়াছিলেন ( ১৭০৩ খৃঃ) । সুন্দরবনের |ায়গীর সীতাবামের ছিল, কিন্তু কতিপয় জমিদার প্রজাদিগকে বিদ্রোহী হইতে উত্তেজিত করেন । রাজা স্বয়ং তথায় যাওয়াতে সকলে নিরস্ত হইয়া যায়। এই সুত্রে নলদী, তেলিহাটী ও মকিমপুর তাহার হস্তগত হয়! জানকী বিশ্বাস মজুমদার নামক এক বৈদ্যজমিদারের বংশধরেরা সুলতানপুর খড়ড়িয়া পরগনার মালিক ছিলেন। সীতারাম এই সমস্ত জমিদারের নিকট হইতেই বাজস্ব আদায় করিয়াছিলেন । বাগেরহাট-রামপালে বিদ্রোহী জমিদারদের সঙ্গে তঁহার একটা খণ্ডযুদ্ধ হইয়াছিল। তিনি রামপাল জয় করিয়াছিলেন, তাহার প্রদত্ত সনদে তাহ পাওয়া যায়। পরমধুদিয়ার নিকটে “রণভূমি” বা রণের মাঠ নামক একটা স্থান